যানজট নিরসনে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে বিল পাস

যানজট নিরসনে মোটরযান ও গণপরিবহনের সংখ্যা নির্ধারণ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৭’পাস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বহুল আলোচিত বিলটি পাস করা হয়েছে।

বিলে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন ইত্যাদি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দ্রুত ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলা সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই বিলটির খসড়া ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বিলে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট ২০১৬-এর অধীন সম্পন্ন কার্যক্রমকে প্রস্তাবিত আইনের অধীনে রহিত করার ও সংরক্ষণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বিলে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীকে সভাপতি করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হবেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বাণিজ্য সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, রেল সচিব ও নৌ-পরিবহণ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রতিনিধিরা।

বিলে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে আট সদস্যের পরিচালনা পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এই পরিচালনা পরিষদ যানজট নিরসনে মোটরযান ও গণপরিবহণের সংখ্যা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। মোটরযান চালনার লাইসেন্স প্রদান, মোটরযানের নিবন্ধন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট, গতিসীমা নির্ধারণ, গণপরিবহণের ভাড়া নির্ধারণে সরকারের কাছে সুপারিশ করাসহ বেশ কিছু ক্ষমতা থাকবে এই কর্তৃপক্ষের হাতে। কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বামোদনক্রমে কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীন এক বা একাধিক কোম্পানি গঠন করতে পারবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহণ সেক্টরে শৃঙ্খলা আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস, সড়ক নিরাপত্তায় গণসচেতনতা সৃষ্টি, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন ইত্যাদি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দ্রুত ও উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।