‘যারা শেখ হাসিনার নির্দেশ মানে না, তারা সরকারি চাকরি করতে পারবে না’

যারা শেখ হাসিনার নির্দেশ মানেন না, তারা সরকারি চাকরি করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

শুক্রবার বিকালে পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা কেন বাস্তবায়ন হলো না- সে প্রশ্ন রেখে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যারা শেখ হাসিনার নির্দেশ মানেন না, তারা সরকারি চাকরি করতে পারবেন না।

ট্রাফিক আইন শক্তভাবে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, টাকা খেয়ে কাউকে ছেড়ে দিবেন না।

নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে পারলে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মুল করতে পারব না কেন? ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বন্ধ ও নিরাপদ সড়ক কেন গড়তে পারব না?

মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মুল ও নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এখন সারাবিশ্বে সমস্যা। যে জঙ্গির লাশ মা-বাবা নেয় না, সেই জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়ে লাভ কী? ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। অথচ মুসলিম হয়ে পিঠে বোমা বেঁধে আত্মঘাতি হামলা চালানো হচ্ছে কেন? কোন ধর্মেই তো এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে জনসচেতনা সৃষ্টি করা খুবই প্রয়োজন। কারণ ধর্মের নামে সারাবিশ্বে এখন রক্তের হলিখেলা চলছে। যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তারা মানুষ নামের কলঙ্ক, শয়তান।

শপথ নেয়া বিএনপির সংসদ সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অন্যরাও সংসদে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীরা শুনে না, এটা দলটির দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।

সমাবেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, মাদক সমাজ তথা দেশকে ধ্বংস করে দেয়। এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তবে উপরের এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা মাদককে উৎসাহ দেয়। প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, যতদিন নিরাপদ দেশ না হবে, ততদিন নিরাপদ সড়ক হবে না। আর নিরাপদ দেশ গড়তে বড় প্রতিবন্ধকতা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও তাদের দোসররা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপদ দেশ গড়তে ১৪ দল কাজ করে যাচ্ছে।

রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়, শিক্ষাবিদ শেখ সেকেন্দার আলী, শিক্ষক প্রতিনিধি কাজী কামরুজ্জামান, সাংবাদিক প্রতিনিধি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।