যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক স্কুল চ্যান্সেরল, মেয়র, ব্রংক্স-ব্রুকলীনে ২ ছাত্র নিহত, অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন

নিউইয়র্ক সিটির স্কুলগুলোও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে স্কুল চ্যান্সেলর ডেভিড ব্যাংকস আশংকা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সিটির স্কুলগুলো জরুরী অবস্থা বা স্টেট অব ইমার্জেন্সি বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য গত সপ্তাহে শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার দুটি হাইস্কুল ছুটির পরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে দুইজন ছাত্রের মৃত্যু ও একজন ছাত্র গুরুতর আহত হলে আবার পরিস্থিতি আশংকাজনক হয়ে ওঠে। কোনি আইল্যান্ডের একটি হাইস্কুলে ছুটির পরে একদল ছাত্র নাইহিম রাইট নামের ১৭ বছর বয়সী ছাত্রের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ছুরিকাঘাত করে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরদিন মারা যায়। এর আগের দিন সাউথ ব্রংক্সে বাস্কেট বল খেলার সময় গুলিতে ১৫ বছর বয়সী জোসু লোপেজ ওরতেগা নিহত হয়।

চ্যান্সেলর ব্যাংকস বলেন, আমরা চাই না একটি প্রাণও ঝরে যাক। আমরা চাই না স্কুল এবং এর আশেপাশের এলাকা আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠুক। সে জন্য আমরা এটাকে স্টেট অব ইমার্জেন্সি বলছি। এর জন্য আমাদের আরো সিরিয়াস হতে হবে এবং এই ধরনের ভায়োলেন্স সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।

চ্যান্সেলর ব্যাংকস বলেন, আমি এটাকে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলতে রাজি নই।

পুলিশ সূত্র বলছে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটিতে কিশোররা ৪টি বন্দুক ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা কেউ বন্দুকধারী কেউ তাদের শিকার। গত বছর নিউইয়র্ক সিটিতে ১৮ বছরের কমবয়সী ১৫৭ জন গান ভায়োলেন্সে হতাহত হয়। ২০২১ সালের তুলনায় তা ১৫ শতাংশ বেশি বলে এনওয়াইপিডির সূত্রে লিখেছে শুক্রবারের ডেইলি নিউজ।

গত মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনার কিচ্যান্ট সিউয়েলসহ ২০০টি স্কুলের স্টাফ, কম্যুনিটি একটিভিস্টকে নিয়ে স্কুল চ্যান্সেলর তার অফিসে বৈঠক করে স্কুল ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

পরপর দুই ঘটনায় দুই স্কুল ছাত্রের মৃত্যুতে মেয়র এরিক এডামসও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি ব্রæকলীনে নিহত নাইহিম রাইটের বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সাথে দেখা করে সহানুভূতি জানানোর পাশাপাশি টিনএজারদের মধ্যে গান ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও বৃহস্পতিবার স্টেট অব দ্য সিটি ভাষণে নিউইয়র্ক সিটি থেকে গান ভায়োলেন্স সম্পূর্ণ বন্ধ করে এই সিটিকে নিরাপদ সিটি হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তার কর্মসূচীর কথা বলেন।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির ১৬০০ পাবলিক স্কুলে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করে। ফলে দুটি গান ভায়োলেন্সের ঘটনা বাংলাদেশী অভিভাবকদেরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।