যুক্তরাষ্ট্রে শাবানার সন্তানরা কে কি করছেন?

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তিতুল্য অভিনেত্রী দির্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাস করছেন। শুধু সন্তানের দিকে চেয়ে সিনেমা ছেড়েছেন নন্দিত এই নায়িকা। জেনে নেই যাদের জন্য এতো বড় বিসর্জন সেই সন্তানেরা কে কি করছেন।

শাবানা বলেন, এ-লেভেল শেষে বড় মেয়ে সুমীকে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলো। এর এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলো ছোট মেয়ে উর্মি। তাঁরা আমাকে মিস করছিল। দেশে আমার চোখের সামনেই ছিল, কাজের ফাঁকে দেখাশোনা করতে পারতাম। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর সেটা আর করা যাচ্ছিল না। মা হিসেবে কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে না? তাই ছেলে নাহিনকে নিয়ে আমি আর ওয়াহিদ সাদিক চলে গেলাম। অভিনয় তো অনেক দিন করলাম। লাখো মানুষের ভালোবাসায় শাবানা হলাম। সন্তানদেরও তো সময় দেওয়া দরকার।

যদিও সিনেমার জগৎটাও আমার একটা পরিবার ছিল। রাত-দিন বিরতিহীনভাবে কাজ করেছি। সহশিল্পী, পরিচালক, এফডিসির পরিবেশটা মিস করিনি তা নয়। কিন্তু মানুষের জীবনে একটা সময় আসে, যখন আর কোনো উপায় থাকে না। মানুষের জীবনের ধাপে ধাপে কিছু সময় আসে, যখন সময় বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবতী মনে করি। আল্লাহ আমাকে সবদিক থেকে পরিপূর্ণ করেছেন।

আমার মেয়ে সুমী ইকবাল এমবিএ ও সিপিএ করেছে। তবে এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী। ছোট মেয়ে উর্মি সাদিক মাস দুয়েকের মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করবে। ছেলে নাহিন সাদিক রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে এখন ব্লুমবার্গে চাকরি করছে।

আমি ব্যস্ত সংসার নিয়ে। ঘরে ও বাইরের সব কাজ নিজেকেই করতে হয়। তাই ব্যস্ততা অনেক। তবে কাজের ফাঁকে ইন্টারনেট ঘেঁটে বাংলাদেশের খোঁজখবর রাখি। টেলিভিশনে দেশের চ্যানেলে নিজের সিনেমা দেখলে খুব ভালো লাগে। পুরোনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। এসব করেই সময় কেটে যায়।

সিনেমার মানুষ শাবানা দেশেল সিনেমার বর্তমান শিল্পীদের খবর আছে তার কাছে। শাবানা বলেন, শাকিব খানের সিনেমা টেলিভিশনে দেখেছি। কয়েক বছর ধরে তাঁর নাম শুনছি, অপু বিশ্বাসের কথাও শুনেছি। শুনলাম শাকিব নাকি এখন ভারতেও বেশ জনপ্রিয়। আমাদের দেশের শিল্পী ওই দেশে জনপ্রিয়, এটা শুনে খুব ভালো লেগেছে। এ ছাড়া পত্রিকার মাধ্যমে মাহী ও পরীমনির কথাও জেনেছি। আমাদের সিনেমা আমাদের আনন্দ। আমাদের বাংলা সিনেমা এগিয়ে যাক এই প্রত্যশা।