যুদ্ধবিধ্বস্ত খেরসনে পানি নেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেটও

দখলকৃত খেরসন থেকে রাশিয়ার সেনারা চলে যাওয়ার পর শহরটির নিয়ন্ত্রণ এখন ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার পরিস্থিতি। রুশ সেনাদের চলে যাওয়াকে নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে কিয়েভ। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরের সবখানে এখনো লড়াইয়ের ক্ষত। পানি নেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট সংযোগও।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অবকাঠামো ধ্বংসের অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ বাহিনী খেরসন ছাড়ার আগে শহরটির যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি ও বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

গত ১২ নভেম্বর এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার আগে রুশ বাহিনী খেরসনের যোগাযোগ, পানি, তাপ ও বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি করে গেছে। তবে বিশ্বাস করুন, আমরা সবকিছু দ্রুত সামলে নিতে পারব।’

এর আগে ১১ নভেম্বর ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ইউনিট খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলেনস্কি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভিযান শুরুর কিছুদিন পরই খেরসন দখলে নেয় রুশ সেনারা। শুক্রবার রুশ সেনারা শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

দীর্ঘদিন পর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পেরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাসিন্দারা শহরটির কেন্দ্রে জাতীয় সংগীত গেয়ে ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেন। এ ছাড়া শহরে ফিরে আসা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকে।