রংপুরের পীরগঞ্জে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর তার ইচ্ছানুযায়ী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বাদ আসর গোপিনাথপুর হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় আলোচনা, মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া বেলা ৩টায় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রী আইটিসি জুনাইদ আহমেদ পলক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়াও মৃত্যুবার্ষিকীতে ড. এমএ ওয়াজেদ স্মৃতি পরিষদ, রংপুর জেলা, মহানগর ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ‘সুধা মিয়া’ নামেও পরিচিত। অসাধারণ মেধার অধিকারী এ বরেণ্য ব্যক্তি শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষানুরাগী।

ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও ভূমিকা ছিল তাঁর। ষাটের দশকে তিনি সম্পৃক্ত হন ছাত্রলীগের সঙ্গে। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেল খাটেন তিনি।