রাখাইনে আরো ১০ হাজার টন ত্রাণ পাঠাচ্ছে তুরস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের মাঝে তার দেশ আরো ১০ হাজার টন ত্রাণ বিতরণ করবে। প্রথম দফায় পাঠানো এক হাজার টন ত্রাণ বিতরণ শেষে দ্বিতীয় দফায় এই ত্রাণ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাখাইন সঙ্কটের পেছনে জটিল কারণ আছে উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, রাখাইন আমাদের কাছে মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়া কোনো ভূখণ্ড নয়। গত কয়েক দশক ধরে রাখাইনে মানবিক এই নাটক চলছে।

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, রাখাইনে নীরব থাকার একটি প্রচেষ্টা আছে এবং রাখাইন সঙ্কট আড়াল করা হচ্ছে। সেখানে কোনো মানবিক দাতা গোষ্ঠীকে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য অনুমতি না দেয়ায় সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে।

এরদোয়ান বলেন, ‘গত রমজানে একমাত্র বিদেশি দাতাগোষ্ঠী হিসেবে রাখাইনে আনুষ্ঠানিকভাববে ত্রাণ সরবরাহ করেছে তুর্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অ্যাজেন্সি (টিআইকেএ)। সর্বশেষ আলোচনার পর আমরা নিশ্চিত করেছি যে, এই অঞ্চলে টিআইকেএ’র মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান ও ছেলে বিলাল এরদোয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে বাংলাদেশে গেছেন। সেখানে রাখাইনের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন তারা।

‘যথেষ্ট কষ্ট এবং ভোগান্তির স্বাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। আমরা সহায়তার জন্য রাখাইনের মুসলিমদের কণ্ঠস্বর হবো।’ একই সঙ্গে রাখাইনের সহিংসতার অবসান ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এরদোয়ান।

উল্লেখ্য, তুর্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অ্যাজেন্সি (টিআইকেএ) বলছে, বুধবার রাখাইনে তুরস্কের এক হাজার টন ত্রাণবাহী জাহাজ রাখাইনে পৌঁছেছে। জরুরি সহায়তা হিসেবে পাঠানো এসব ত্রাণের মধ্যে চাল, শুকনা মাছ ও কাপড় রয়েছে; যা রাখাইনের সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ।