রাজধানীতে শিগগিরই আসছে সমন্বিত বাস সার্ভিস

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে সমন্বিত বাস সেবা চালু হতে যাচ্ছে শিগগিরই। অচিরেই ঢাকাবাসী প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগের বাস্তবায়ন দেখবেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। এতে করে বাসে বাসে প্রতিযোগিতা আর রেষারেষি কমবে, বাড়বে যাত্রী সেবার মান। তবে রাস্তায় বাস না নামা পর্যন্ত এমন আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না নগরবাসী।

সময় মেনে একের পর এক আসছে বাস। যাত্রীরাও সুশৃঙ্খলভাবে টিকেট কেটে লাইন ধরে বাসে উঠছেন। যাত্রী ধরতে বাসগুলোর মধ্যে যেমন নেই প্রাণঘাতী প্রতিযোগিতা, তেমনি যাত্রীরাও মানছেন নিয়ম। খোদ রাজধানীর গুলশানের ঢাকার চাকা, হাতিরঝিল বা শংকরের চক্রাকার বাস এমন শৃঙ্খলার ইতিবাচক নজির।

যাত্রীরা বলেন, ‘ধানমন্ডির চক্রাকার বাস ভাল সার্ভিস দিচ্ছে। আমরা চাই পুরো ঢাকা শহরে এমন সার্ভিস চালু হোক।’

একই শহরের অন্যান্য রাস্তায় গণপরিবহনের বেপরোয়া চলাচল কারো অচেনা নয়। এরই প্রেক্ষিতে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন গত ৮ মাস হলো তার হাল ধরেছেন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি গত ৮ মাসে ৮টি বৈঠক করেছে। চলতি মাসের ২০ তারিখে নবম বৈঠকে সমন্বিত বাস সেবা কবে চালু হচ্ছে – সে সিদ্ধান্ত নেবার কথা রয়েছে।

সাঈদ খোকন বলেন, সবাই রাজি থাকলে রুট ও বাস রেশনিং এর মাধ্যমে ছয়টি কোম্পানির আওতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করতে পারবো।

বর্তমানে এয়ারপোর্ট রোডে ৫০টি রুটে ৪০টি কোম্পানির ২ হাজার বাস চলে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই সড়কেই ৪টি রুটে নামানো হবে একটি কোম্পানির বাস। এভাবে পুরো রাজধানীতে ৬টি কোম্পানির বাস চলবে ২২টি রুটে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ সালেহ উদ্দিন বলেন, পুরো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইলে এই ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরী।

এসব সিদ্ধান্তের দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চায় নগরবাসী। তারা বলেন, ‘ঢাকা শহরে বর্তমান যে যোগাযোগ ব্যবস্থা তাতে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন জরুরী।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে ঝুলে থাকা রাজীবের হাত কিংবা ওভারটেকের খেলায় বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে সমন্বিত বাস সেবার বিকল্প নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।