রাজধানীবাসী যানজটে নাজেহাল

রাজধানীর বনানী কবরস্থান থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড সড়ক। যেখানে যানজট লেগেই থাকে। ছুটির দিনেও এই জট থেকে রেহাই পান না নগরবাসী। চালকদের দাবি, সড়কের জায়গায় বিআরটিএ ও সেতু ভবনসহ একাধিক স্থাপনা থাকায় হঠাৎ করে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সমস্যা স্বীকার করে উত্তর সিটির মেয়র আতিক মনে করেন, ভবন অপসারণ করা উচিত।

প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে বিমানবন্ধর সড়কে। মূলত পুরো বিমানবন্দর সড়কটি প্রশস্ত হলেও মহাখালী ফ্লাইওভারের মুখে এসে বিআরটিএ ও সেতু বিভাগের বিশাল দুটি ভবন থাকায় হঠাৎ করেই রাস্তাটি সরু হয়ে গেছে। এতে ফ্লাইওভারের নিচের দিকের গাড়ির চাপে ফ্লাইওভারমুখী গাড়িগুলোকে এভাবেই আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ওই ভবন দুটি ছাড়াও বনানী কবরস্থান থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত রাস্তার জায়গায় আরো রয়েছে ৭ থেকে ৮টি বড় স্থাপনা।

এক বাস ড্রাইভার বলেন, ‘উত্তরা থেকে কোনো যানজট ছাড়া আসলেও মহাখালী আসলে যানজটে পড়তে হয়। ফ্লাইভারের নিচ দিয়ে যে গাড়িগুলো যায় যানজটের সময় সে গাড়িগুলো ফ্লাইওভারের মুখ আটকে রাখে যার ফলে ফ্লাইওভারমুখী গাড়িগুলোও ফ্লাইওভারে উঠতে পারে না। ফলে সৃষ্টি হয় আরও তীব্র যানজট।’

এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন, ‘সেতু ভবন এবং বিআরটিএ ভবন করার কারণে পুরো রাস্তা সরু হয়ে গেছে।’

রাস্তার জায়গায় সরকারি ভবনগুলো অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে দাবি করে উত্তরের মেয়র বলছেন, ভবনগুলো অপসারণ করে রাস্তা প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতু ভবন যখন হলো এটা কিন্তু চিন্তা করে নাই যে রাস্তা সরু হয়ে যাবে। সড়ক ও জনপদের জায়গা বলে তারা ভবন তৈরি করবে এটা ঠিক না। এ ধরনের ভবন যদি তৈরি হয় এটা জনগন ভালোভাবে নেবে না। সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন। কীভাবে এটাকে স্থানান্তর করা যায়।’

তবে বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার জানিয়ে কথা বলতে রাজি হননি সড়ক পরিবহন সচিব।