রাণীনগরে আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : এখনো আসেনি ঋতুরাজ বসন্ত, তবে শেষের পথে শীতকাল। এরই মধ্যে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিভিন্নএলাকায় আমের গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করায় বসন্তের আগমন জানান দিচ্ছে । কৃষিবিদ ও আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার আমের ভাল ফলন হবে। আমচাষী ও বাগান মালিকেরা বাগান পরিচর্যা করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই গাছে পরিচর্যা করছেন তারা।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, এই এলাকায় বানিজ্যিকভাবে আম চাষের তেমন কোন আগ্রহ না থাকলেও গত ২/৩ বছরে ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ হেক্টরের অধিক জমিতে বানিজ্যিকভাবে আম বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। বাগানে আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, মোহনা, ল্যাংড়া, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে।এছাড়াও ছোট ছোট পরিত্যাক্ত এবং বাড়ীর আশে-পাশে জায়গা গুলোতে অনেক গাছ রয়েছে। ইতি মধ্যেই বেশ কিছু গাছে মুকুল আসতে শুরুও করেছে।

আগামী ফাল্গুন মাসের ১ম সপ্তাহ নাগাদ ভরপুর মুকুল আসবে । এ উপজেলার উৎপাদিত আম এলাকার চাহিদা পুরনের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। সফল আমচাষী উপজেলার কালীগ্রাম ইউনয়নের করজগ্রাম কাজীপাড়ার সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। কয়েক দিনের মধ্যেই সব গাছে মুকুল আসবে। প্রতি বছরই তিনি আম গাছ থেকে অনেক টাকা আয় করে থাকেন। কালীগ্রামের ওহেদুল ইসলাম মিলনসহ অনেকেই আমের বাগান করেছেন্ তারাও প্রতিবছর আম থেকে অনেক টাকা আয় করছেন বলে জানান।

এ বিয়য়ে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারোওয়ার জানান,ইতি মধ্যে আমচাষীদের আম গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে । এছাড়া জৈব বালাইনাশক ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফল চাষে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে । তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভাল হবে আসা করছেন তিনি।