বড় মেয়েকে হত্যার পর ছোট মেয়েকে পুকুরে ফেলে দিল বাবা

নরসিংদীতে চুমকি নামে ৫ বছরের মেয়েকে হত্যা করেছে তার বাবা। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার মহিষাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ঘাতক বাবা শফিকুল ইসলামকে (৩৫) আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মহিষাদি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী রোকসানা আক্তার ও দুই মেয়ে চুমকি (৫) ও লাবনীকে (২) নিয়ে বসবাস করতো। ঘাতক বাবা শফিকুল ইসলামের বাড়ি শরিয়তপুরে। তিনি বিভিন্ন কল-কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। অভাব অনটনের সংসারে প্রায় দিনই লেগে থাকত ঝগড়া-বিবাদ। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও স্ত্রী রোকসানা আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। এক পর্যায়ে চুমকিকে মারধর করলে সে রাগ করে তার বাবার ঘরে চলে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে চুমকিকে বেঁধে কাঠের সঙ্গে ঝুলিয়ে হত্যা করে। আর ছোট মেয়ে লাবনীকে হত্যা করতে না পেরে বাড়ির সামনের পুকুরে ফেলে দেয়। এসময় তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী শফিকুলকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

শফিকুলের স্ত্রী রোকসানা জানায়, সন্ধ্যায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে আমার ওপর হাত তুলে। পরে আমি রাগ করে বাবার ঘরে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ রাতে আমার স্বামী শফিকুল ঘরে তার ৫ বছরের শিশু কন্যা চুমকিকে হত্যা করে ও ছোট মেয়ে লাবনীকে হত্যা করতে চাইলে তার চিৎকার শুনে দৌড়ে পুকুড় পাড়ে গিয়ে দেখি লাবনী পানিতে পড়ে আছে।

মাধবদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ বলেন, বুধবার রাতে শফিকুল তার শিশু কন্যা চুমকিকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে ঘাতক শফিকুল। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।