রাশিয়া বিশ্বকাপে সাংবাদিক দেখলেই চুমু! (ভিডিও)

রাশিয়া বিশ্বকাপে মাঠে ঝড় তুলছেন ফুটবলাররা, আর মাঠের বাইরে নানা কর্মকাণ্ডে মাতিয়ে রাখছেন সমর্থকেরা। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে সাংবাদিকদের চুমু খাওয়া। এর আগে দুই নারী সাংবাদিককে পুরুষ সমর্থক চুমু খাওয়ায় ‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগ উঠেছিল। এরপর আর নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই; সাংবাদিক দেখলেই চুমু খেতে ছুটে আসছেন সমর্থকেরা!

রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এমন চুমুর শিকার হয়েছিলেন ব্রাজিলের একজন নারী সাংবাদিক। ইয়েকাতেরিংবার্গে ফুটবল ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার করার সময় ব্রাজিলের টেলিভিশনের সাংবাদিক জুলিয়া গুইমারায়েসকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন রাশিয়ার এক যুবক। ওই সাংবাদিক সঙ্গে সঙ্গে তার ক্যামেরার বুম যুবকটির দিকে ঘুরিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন।

এর আগে কলম্বিয়ার সাংবাদিক জুলিয়েথ গঞ্জালেসকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান এক রুশ ফুটবল সমর্থক। জুলিয়েথ লাইভ বিশ্বকাপ সম্প্রচারের সময় তিনি শুধুমাত্র “সিস্টেম এবং স্ট্রাটেজি” নিয়ে কথা বলতে চান জানানোর পর অজ্ঞাত পরিচয় এই ব্যক্তি তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান।

এছাড়া স্প্যানিশ মিডিয়াসেট এর রিপোর্টার মারিয়া গোমেজ এই ঘটনার শিকার হয়েছেন।লাইভ সম্প্রচারের সময় এক পুরুষ সমর্থক এসে তাঁর গালে চুমু বসিয়েই দে ছুট! কিন্তু বেচারী মারিয়া এতে রেগে আগুন হয়ে যান। সোশ্যাল সাইটে এটাকে তিনি ‘যৌন হয়রানি’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া সুইডিশ নারী সংবাদকর্মী মাহলিন হোলবার্গও একই ঘটনার শিকার হন।

কিন্তু এবার যা ঘটল, সেটা ঠিক উল্টো ঘটনা! এবার লাইভ সম্প্রচারের সময় পুরুষ সাংবাদিক জিওন জিওয়াং রিওলকে ধরে চুমু খেলেন বেশ কয়েকজন রাশিয়ান তরুণী! দক্ষিণ কোরিয়ার এমবিএন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক জিওন জিওয়াং মাইক্রোফোন হাতে সরাসরি প্রতিবেদন পাঠাচ্ছিলেন। এমন সময় এক নারী সমর্থক তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু বসিয়ে দেন।

পেশাদার সংবাদকর্মীর মতোই জিওন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবারও আরেকজন নারী সমর্থক এসে তাকে চুমু খান। জিওন এবার সম্প্রচার বন্ধ করতে বাধ্য হন। গালে যে দাগ পড়ে গেছে ততক্ষণে!

নারী সাংবাদিকদের চুমু খাওয়ার ব্যাপারটি রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকেই অনেক সমালোচনা হয়েছে। নারীবাদীরা কঠোর সমালোচনা করেছেন। বিচার চেয়েছেন। দেশের ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই কি এবার তবে রাশিয়ান তরুণীরা মাঠে নেমে পড়লেন? তাদের টার্গেট বিদেশি পুরুষ সাংবাদিকরা, যারা লাইভ করছেন। যদিও মেয়েদের এই চুম্বন অভিযানের ঘটনাকে কেউ এখনও ‘পুরুষ নির্যাতন’ বলে দাবি করেনি।

দেখুন সেই ভিডিও: