রায়হানের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা মালয়েশিয়ার দুই আইনজীবীর

মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি তরুণ মো. রায়হান কবিরের মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির দুই আইনজীবী। রবিবার মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আইনজীবী সুমিতা শান্তিন্নি কিশনা এবং সেলভরাজ চিনিয়াহ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রায়হানের মামলার সঙ্গে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন।

মালয়েশিয়ার অভিবাসী কর্মীদের ওপর নিপীড়নমূলক আচরণ নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরায় প্রচারিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কারণে গ্রেফতার করা হয় রায়হানকে। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির হামজা জয়নুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্তে সহায়তা করার জন্য শনিবার থেকে তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে এবং আমরা যথাযথ তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।’

মালয় মেইল জানিয়েছে, দুটি ভিন্ন ফার্মের দুই আইনজীবী শনিবার রাতে জানান, তারা ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এবং রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশকে রায়হানের আইনজীবী হিসেবে তাদের নিয়োগের বিষয়ে অবগত করেছেন। ‘চিঠিতে আমরা আমাদের ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করার তারিখ চেয়েছি,’ সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন দুই আইনজীবী। তারা বলেন, ‘সোমবার দুপুর দুইটার দিকে আমরা বুকিত আমানে থাকব।’

গত ৩ জুলাই আল-জাজিরার ইংরেজি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ওই প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস মহামারীতে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সরকারের আচরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন রায়হান কবির।

আল জাজিরার ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর থেকেই সাক্ষাৎকার দাতা বাংলাদেশি রায়হার কবিরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তার বিষয়ে তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিও দেয়া হয়। পরে রায়হানের ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি) বাতিল করে দেয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক টুইট বার্তায় জানানো হয়।

রায়হান কবিরের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে। তার বাবা শাহ আলম একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ২০১৪ সালে তোলারাম কলেজে থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে মালয়েশিয়া চলে যান রাহয়ান।