রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে শ্রমিক হত্যার দায় রাষ্ট্রের দায়হীনতা : ন্যাপ মহাসচিব

রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৫২ শ্রমিক হত্যার দায় রাষ্ট্রের দায়হীনতা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, রানা প্লাজার ঘটনার পরে আমাদের জাতীয় সক্ষমতা তৈরির দরকার ছিল। শ্রমিক নিরাপত্তার ব্যবস্থার দরকার ছিল। সরকার তা করেনি। ইউরোপ-আমেরিকার বায়াররা উদ্যোগ নিলেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ গার্মেন্টসের বাইরেও যে কলকারখানা আছে সেগুলোও একইভাবে নিরাপত্তাহীন। আগুনে পুড়ে শ্রমিক হত্যার দায় রাষ্ট্র ও সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

বুধবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নারায়নগঞ্জ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দের সাথে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বারবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুনে দুঃখজনক হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ায় প্রমাণিত হচ্ছে যে দেশের কারখানাগুলো কোনোক্রমে নিরাপদ নয়। এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওযা হচ্ছে না। এ ধরনের বিপর্যয়ের আগে নিয়মিত তদারকি করলে অনেক মূল্যবান জীবন বেঁচে যেতে পারতো।

তিনি বলেন, সরকারের নজরদারির অভাবে কারখানাতে নিয়মিত আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে। তাজরিন, রানা প্লাজাা অথবা সেজান জুস কারখানার মানুষ মরার ঘটনাপ্রবাহ লক্ষ্য করলে দেখবেন, অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে বহু হতাহত হয়েছে।

তিনি বলেন, শিল্প খারানার দুর্ঘটনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের চরম অবহেলা ও দুর্নীতিই দায়ি। ছাড়পত্র দেয়া হয় টাকার বিনিয়মে। যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচার করতে হবে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। শ্রমিক নিরাপত্তায় সরকারের সক্ষমতা চাই।

নারায়নগঞ্জ মহানগর সভাপতি মো. রাশেদউদ্দিন ফয়সালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, নারায়নগঞ্জ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তালেব, নির্বাহী সদস্য মো. শওকত আলী প্রমুখ।