রোজার আগেই যশোরের রাজগঞ্জে খেজুর, ফল ও দুধের দাম চড়া,বিপাকে অল্প আয়ের মানুষ

মাহে রমজান শুরুর আগেই যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি দাম বেড়েছে খেজুর, ফল ও গরুর দুধের। বিশেষ করে খেজুর ও দুধের দাম অল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

রাজগঞ্জ বাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখাগেছে- দোকানিরা বিভিন্ন দামে বিক্রি করছে খেজুর। দোকানিরা বলছেন- গত বছরের চেয়ে এবছর খেজুরের দাম বেশি। তারা আরও বলছেন- প্রতিকার্টুন খেজুরে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে। এই সাথে বিভিন্ন ফলের দামও বেড়েছে।

সারাদিন রোজা রেখে, মানুষ ইফতারিতে খেজুরসহ ফল রাখেন। রোজা এলেই এই পণ্যর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এই সুযোগে অতিরিক্ত দামে খেজুর ও ফল বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা লুফে নিচ্ছে টাকা। তবে, খুচরা বিক্রেতারা বলছেন- আমাদের কিছু করার নেই। আমরা যেভাবে কিনি সেভাবেই বিক্রি করি। আমাদের লাভের পরিমাণ খুবই সামান্য। এখানে বরাবরই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সুবিধা ভোগ করেন।

রাজগঞ্জ এলাকা একটি মফস্বল এলাকা। এই এলাকায় গরুর দুধের চাহিদা বেশি থাকে এবং গরুর দুধই মানুষ খেয়ে থাকে। রাজগঞ্জে সাধারণতো ৫০ টাকা দরে গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছিলো। কিন্তু রোজা সমাগত হওয়ায় এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর দুধ।

রোমান হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন- রোজা শুরুর আগেই খেজুর, ফল, দুধসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ভেবেছিলাম এবছর হয়তো জিনিসপত্রের দাম কম থাকবে। কিন্তু এবারই যেনো দাম বেশি। তাই, কষ্ট হলেও বাধ্য হয়ে পরিমাণে কম কম জিনিসপত্র কিনছি। তিনি আরও বলেন- জিনিসপত্র কিনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রাজগঞ্জ বাজারের একজন ফল বিক্রেতা বলেন- স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রোজার মাসে খেজুরের চাহিদা বেশি থাকায় নানা অজুহাত দেখিয়ে খেজুরের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। সরকার কঠিন মনিটরিং করে না বিধায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা নিজের মনমতো দাম বাড়ান। এবার খেজুরের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

রাজগঞ্জ বাজারের আরও একজন ফল বিক্রেতা বলেন- এখন ফলের পাআকারি বাজার পুরো চলেগেছে সিন্ডিকেটের দখলে। সিন্ডিকেট যেভাবে নাড়াচ্ছে, সেই ভাবেই চলছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে ফলের দাম কমবে না।

বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর কর্তৃপক্ষের নিয়মিত রাজগঞ্জ বাজার মনিটরিং করার দাবি জানান রাজগঞ্জ এলাকার সচেতন সমাজ।