লকডাউন দেখতে ভোলায় উৎসুক জনতার ভীড়! সামাল দিতে প্রশাসন মাঠে

ভোলায় করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন কেমন পালন হচ্ছে , তা দেখতে এক শ্রেনির উৎসুক জনতা শহর ও বাজার এলাকায় অহেতুক ভীড় জমাচ্ছেন। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ন্ত্রিত চেক পোষ্ট বসিয়েও থামানো যাচ্ছে না এদের। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, তিনি নিজে শহর এলাকা ঘুরে তাজ্জব বনে যান। যেখানে বিশেষ কারনে ঘর থেকে বেড় হতে হলে অনুমতিপত্র নেয়ার কথা, সেখানে অনেকেই ঘর থেকে বেড় হন লকডাউন হচ্ছে কিনা তা দেখতে। এদের জরিমানা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউছুফ হাসান এক প্রেসনোটে জানান, পহেলা বৈশাখের দিনও ৬৫ জনকে জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার করা হয় আরো ৬০ জনকে। প্রশাসন থেকে জানানো হয়, লকডাউনকালীন সময়ে ডাক্তার, সাংবাদিক, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীসহ ১৮ সেক্টরের বিশেষ দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য বলা হলেও তা করা হচ্ছে না। এমন কি ওই সব ব্যক্তিদের পরিবহনের যানবাহনে নিয়ম মানা হচ্ছে না। পুলিশের চেক পোস্টে এ নিয়ে জটিলতা তৈরী হয়। বুধবার শহরের বাংলাস্কুল মোড় এলাকায় একজন ডাক্তারসহ এক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি’র মটর সাইকেল চেকপোস্টে কিছু সময় আটকে রাখার বিষয় নিয়ে সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে ডাক্তার পাড়ায় ঝড় ওঠে।

পুলিশ সুপার জানান, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এটি পুলিশের একার কাজ নয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লকডাউনে যদি সকলের সহযোগিতা না থাকে তাহলে করোনা মোকাবেলা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
লকডাউনের আওতামুক্ত ১৮ টি সেক্টর রয়েছে, তাদের আইডি কার্ড বা পরিচয় পত্র সাথে রাখার আহ্বান জানান ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। তাদের যানবহনের কাগজপত্রসহ হেলমেট সাথে রাখার জন্য বলা হয়।

প্রয়োজনে গাড়ির সামনে তার অফিসের নাম লিখে রাখলে প্রশাসনের কাজে সহযোগিতা হয় বলেও জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেটরা।

চেকপোস্টে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরকে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিফিং করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার । এ ছাড়া উৎসুক জনতাকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হয় জেলা প্রশাসন থেকে।