লিটন-সাকিবের নৈপুণ্যে বাংলাদেশের দাপুটে জয়

ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। তাতে স্রেফ এলোমেলো জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দেওয়া ২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেল ১২১ রানে। ১৫৫ রানের বিশাল জয় নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে শুরু করলো বাংলাদেশ।

রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ বড় জয়। তবে বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে জিম্বাবুয়েকেই জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়েছিল সিলেটে। দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারানোর রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।

হারারেতে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। এর আগে ২০১১ সালে তিনটি ওয়ানডে খেললেও তিনটিতেই হেরেছিল অতিথিরা।

স্কোর:  জিম্বাবুয়ে ১২১/১০, ওভার: ২৮.৫

বাংলাদেশ ২৭৬/৯, ওভার: ৫০

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লিটন দাস

সাকিবের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ‘পাঁচ’

প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ১৭ রানে সাকিব উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে সাকিব নিজের জাত চেনালেন। উড়িয়ে দিলেন জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ওভারেই ফেরান জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় উইকেট ব্রেন্ডন টেইলরকে। এরপর একে একে তার শিকার রায়ান বার্ল, মুজারাবানি, চাকাবা ও এনগাবারা। সাকিবের ক্যারিয়ারের তৃতীয় পাঁচ উইকেট।

২০১৯ বিশ্বকাপে সবশেষ ওয়ানডে ক্রিকেটে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ২৯ রানে তার শিকার পাঁচ উইকেট। আজ ১ রান বেশি দিয়ে পেলেন পাঁচ উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার প্রথম পাঁচ উইকেট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৫ সালে ঢাকায় পেয়েছিলেন ৪৭ রানের খরচে।

৪৩ রান তুলতেই নেই ৬ উইকেট!

ছন্দপতন তাহলে একেই বলে! বাংলাদেশের দেওয়া ২৭৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগছিল স্বাগতিকরা। তবুও ব্রেন্ডন টেইলর ও রেগিস চাকাবার ব্যাটে কিছুটা আশার আলো দেখে তারা। টেইলর দলীয় ৭৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরলে সব এলোমেলো হয়ে যায়। পরের ৪৩ রান তুলতেই নেই ৬ ব্যাটসম্যান। ১২১ রানে শেষ জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

সাকিবের রেকর্ডের পর এলোমেলো জিম্বাবুয়ে

দ্বিতীয় স্পেলে সাকিবের বোলিংয়ে উইকেটের ফোয়ারা। তাতে স্রেফ এলোমেলো জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্রেন্ডন টেইলরকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। টেইলের উইকেট নিয়ে সাকিব বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। পেছনে ফেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। এরপর রায়ান বার্ল, মুজারাবানি ও চাকাবার উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। মাঝে রান আউট হন লুক জংওয়ী।

‘প্রতিশোধ’ নিয়ে মাশরাফিকে ছাড়িয়ে সাকিবের রেকর্ড

ব্রেন্ডন টেইলরের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন সাকিব আল হাসান। ২১৩ ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেট ২৭০টি। শীর্ষে উঠতে সাকিব পেছনে ফেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। মাশরাফি ২১৮ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট পেয়েছেন।

জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক টেইলর সাকিবকে উইকেটে স্বাগত জানিয়েছিলেন বাউন্ডারি মেরে। এক ওভার পর সাকিবের ঘূর্ণিতে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান স্লগ সুইপে। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে সাকিব প্রতিশোধ নেন। আবার টেইলর সাকিবকে উড়াতে চেয়েছিলেন। এবার পারেননি। টপ এজ হয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন তাসকিনের হাতে। ৩১ বলে ২৪ রান করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।

নতুন ব্যাটসম্যান রায়ান বার্লকেও সাকিব বেশিক্ষণ টিকতে দেননি। ১৭ বলে ৬ রান করে বার্ল সীমানায় ক্যাচ দেন। আফিফ সহজ ক্যাচ সাকিবকে দ্বিতীয় উইকেটের স্বাদ দেন। স্বাগতিকরা হারাল পঞ্চম উইকেট।

শরিফুলও পেলেন উইকেট

জিম্বাবুয়ের শুরুর দুই উইকেট নিয়েছিলেন পেসার সাইফ উদ্দিন ও তাসকিন। বাংলাদেশের তৃতীয় পেসার শরিফুল কেন বাদ থাকবেন? বাঁহাতি পেসারও পেলেন উইকেট। ডিয়ন মায়ার্সকে শর্ট বলে সাজঘরের পথ দেখান এ বাঁহাতি পেসার। পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন মায়ার্স। ২৪ বলে ১৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

জমজমাট লড়াই!

ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশ ৩৮ রান তুলেছিল ২ উইকেট হারিয়ে। জিম্বাবুয়ে ৯ রান বেশি করলো। তারাও হারিয়েছে ২ উইকেট। হারারেতে কী জমজমাট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে?

বোলিংয়ে শুরুতেই জোড়া সাফল্য

লড়াকু পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের। দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও সাইফ উদ্দিন একটি করে উইকেট নিয়ে দলকে এগিয়ে রেখেছেন। শুরুতে সাইফ উদ্দিন বোল্ড করেন মারুমানেকে (০)। ওয়েসলি মাধভারে ১৭ রানে ৯ রান করে বোল্ড হন তাসকিনের বলে।

জিম্বাবুয়েকে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে হারারেতে প্রথম ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন লিটন দাস। এক ম্যাচ পর একাদশে ফিরে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়েকে কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার বোলাররা কেমন করে সেটাই দেখার।

শেষটা রাঙালেন মিরাজ-আফিফ

যেমনটা দরকার ছিল তেমনটাই করলেন মিরাজ ও আফিফ। ছোট কিন্তু কার্যকরী দুটি ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দিল লড়াকু পুঁজি। সেঞ্চুরিয়ান লিটন ৪১তম ওভারে সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে আসেন মিরাজ। সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে ৪১ বলে ৫৮ রান যোগ করেন মিরাজ ও আফিফ। মিরাজ ব্যাট থেকে ২৫ বলে আসে ২৬ রান। আফিফ ৩৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রান করেন।দুজনকে ৪৯তম ওভারে সাজঘরের পথ দেখান পেসার লুক জংওয়ী। ডানহাতি পেসারের পরপর দুই বল উড়াতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন তারা। মিরাজ ক্যাচ দেন কভারে। আফিফ বোল্ড হন। ওই ওভারে বাংলাদেশ হারায় আরও একটি উ্ইকেট। তাসকিন আহমেদ দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন।

লিটনের ধ্রুপদী সেঞ্চুরি

অসাধারণ সেঞ্চুরিতে নিজের ফেরা রাঙালেন লিটন দাস। অফফর্মের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বাদ পড়েছিলেন। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দলে ফেরেন তিনি। ফিরেই তার ব্যাট থেকে এলো তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার।

৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছিলেন। পরের ৩২ বলে তুলে নেন আরো ৫০ রান। সব মিলিয়ে ১১০ বলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির ইনিংসে ৪৫ বলই ছিল ডট। রান তোলায় সতীর্থরা যে ভুল করেছিলেন ঠিক সেখানেই স্থির ছিলেন। তাতে পেয়েছেন কাঙ্খিত ফল। সেঞ্চুরির ইনিংসে ছিল মাত্র ৮টি বাউন্ডারি। তবে সেঞ্চুরির পর ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড নাগারাবার শর্ট বল পুল করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ১০২ রানে।

প্রতিরোধের পর মাহমুদউল্লাহ সাজঘরে

লিটনের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জুটিতে তার অবদান ৩৩ রান। চাইলে ইনিংসটি বড় করতে পারতেন। কিন্ত ভুল শটে শেষ তার ইনিংস। লুক জংওয়ীর স্লোয়ার বাউন্সার পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দেন বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের নায়ক।

লিটনে মন্থর ফিফটি

৭৮ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিলেন লিটন দাস। ওয়ানডেতে এটি তার মন্থরতম ফিফটি। শুরু থেকেই লিটন ছিলেন ধীরস্থির। রান পেতে তাড়া দেখাননি। তাতে উপকারই হয়েছে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে প্রতিরোধ গড়েছিলেন তিনি। দেখার বিষয় হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেন কি না।

হাল ধরেছেন লিটন-মাহমুদউল্লাহ

ব্লেসিং মুজারাবানির বোলিং তোপে পড়ে ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেছেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ। হাফ সেঞ্চুরির পথে ছুটছেন লিটন। তাদের জুটিতে দলীয় স্কোর একশ ছাড়ালো সফরকারীরা।

হতাশ করলেন মোসাদ্দেক

প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেলেও মূল মঞ্চে হতাশ করলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১৫ বলে ৫ রানের নড়বড়ে ইনিংসের সমাপ্তি হয়েছে বাজে শটে। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড নাগারাবার অফস্টাম্পের এক হাত বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তার আউটে বিপদ বাড়ল বাংলাদেশের। ৭৪ রানে হারাল ৪ উইকেট।

১০-২০ ওভার: ৩৮ রান ২ উইকেট

প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে’র প্রথম ১০ ওভারেও বাংলাদেশ ২উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৮ রান। ১০ থেকে ২০তম ওভারে ৩৮ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। হারিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উইকেট। উইকেটে এখন আছেন লিটন ও মাহমুদউল্লাহ। তাদের ব্যাটে কী বাংলাদেশ লড়াইয়ে ফিরতে পারবে?

৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

নজরকাড়া চার বাউন্ডারিতে দ্রুত রান তোলা মোহাম্মদ মিঠুন বড় কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন। এর আগে বিদেশের মাটিতে দলকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করে ভালো অবস্থানে নিয়েছেন তিনি। এবারও তার থেকে এমন কিছুর প্রত্যাশায় ছিল দল। কিন্তু ১৯ রানেই শেষ তার লড়াই। চাতারার অফস্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শট খেলে উইকেটের পেছনে মিঠুন ক্যাচ দেন। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লে’তে পিছিয়ে বাংলাদেশ

প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান তুললেও হারিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট। তামিম ও সাকিব দুইজনই উইকেট উপহার দিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে। পেসার মুজারাবানির শিকার দুই  বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম দুই ওভারে কোনো রান নিতে পারেননি তামিম ও লিটন। তৃতীয় ওভারে মুজারাবানি ফেরান তামিমকে। এরপর সাকিব এসে দ্রুত রান তুললেও ছন্দে ছিলেন না। ১৯ রানে কভারে ক্যাচ দিয়ে সাকিব ফেরেন সাজঘরে। উইকেটে এসে মিঠুন চার চারে ভালো শুরু করেছেন। লিটন এগিয়ে যাচ্ছেন মন্থর গতিতে। প্রথম রান পেতে খেলেছেন ১০ বল। দেখার বিষয় নিজের ইনিংসটি কিভাবে মেরামত করেন তিনি।

উইকেট উপহার দিলেন সাকিব

বড্ড তাড়াহুড়ো করছিলেন। ফর্মে না থাকায় দ্রুত রান তুলতে চাচ্ছিলেন। চার মেরে রানের খাতা খুললেও সাকিবের ব্যাটিংয়ে ছন্দ ছিলো না। তাতেই বিপদ ডেকে আনলেন। নবম ওভারে মুজারাবানিকে কভার দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৯ রানে সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব। বাংলাদেশ হারাল দ্বিতীয় উইকেট।

তামিমের ডাক, শুরুতেই নড়বড়ে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই তামিম ইকবালকে হারাল বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। পেসার মুজারাবানির লাফিয়ে উঠা বলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন তামিম। প্রথম দুই ওভারে বাংলাদেশ কোনো রান তুলতে পারেনি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।

টস

টস জিতে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

লিটন ফিরলেন, মোস্তাফিজ নেই

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে লিটন দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। তার জায়গায় খেলেছিলেন নাঈম শেখ। তবে বাঁহাতি ওপেনার এবার সুযোগ পেলেন না। লিটন ফিরলেন পুরোনো জায়গায়। এদিকে প্রস্তুতি ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পাওয়া মোস্তাফিজকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি দল। তাকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: ব্রেন্ডন টেইলর (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, রেগিস চাকাবা, টেন্ডাই চাতারা, লুক জংওয়ে, ওয়েসলি মাধেভেরে, টিমিসেন মারুমা, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিয়ন মায়ার্স, রিচার্ড নাগারাবা।

টানা ১৬ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে হারারেতে নামছে বাংলাদেশ

শেষ ১৬ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ হারেনি। অবশ্য ১৬টি ম্যাচই বাংলাদেশ খেলেছে দেশের মাটিতে। এবার  হারারেতে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশ। একটি পরিসংখ্যান জানিয়ে রাখি, হারারেতে এর আগে ২০১১ সালে তিন ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ৩টি। আজ জয়ের খাতা খুলতে পারে কিনা সেটাই দেখার।

৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট চায় বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে সিরিজ জিতে ৩০ পয়েন্ট চায় বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক এ সিরিজটি আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের অন্তর্ভূক্ত। প্রতি ম্যাচের জন্য বরাদ্দ ১০ পয়েন্ট। সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিতে প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ৫০ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে থেকে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চায়।