শতাধিক আসনে ‘ভোট সন্ত্রাসে’র অভিযোগ রিজভীর

র‌্যাব-বিজিবি-পুলিশ তাণ্ডব চালিয়ে সারাদেশে রাতেই নৌকায় সিল মেরেছে। একই সঙ্গে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শতাধিক আসনে কেন্দ্র দখল, ধানের শীষের এজেন্ট প্রবেশ করতে না দেয়া ও এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা হিসাব করতে পারিনি কতটি আসনে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি যেসব আসনের কথা বলেছেন তা হিসাব করে দেখা গেছে শতাধিক আসনে রাতে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। সকালে ধানের শীষের এজেন্ট প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কোথাও কোথাও রাতে ৩০ শতাংশ ভোট বাক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সময় তিনি বিভিন্ন জেলার নাম উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, মেহেরপুর, ভোলা, কুমিল্লা, ফেনী, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, বাগেরহাট, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, জামালপুর, বরগুনা, বরিশাল, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শেরপুর, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন আসনে রাতে নৌকা মার্কায় সিল মারা হয়েছে।

সকালে ধানের শীষের এজেন্ট কেন্দ্রে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া হয়। যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল তাদের জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শনিবার রাতের কোনো এক সময় টাঙ্গাইল-২ আসনের সিমলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। রোববার সকালে নিজের বাসার কাছে শ্যামপুর মডেল হাইস্কুলে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গুলি করা হয়েছে। তিনি এখন অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি।

রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নমুনা দেখতে পাচ্ছি।