শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত আমজাদ হোসেন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন।

শনিবার বেলা ১১টায় তার মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়।

এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সহকর্মী, চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ভক্তরা ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাকে।

শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, অভিনেতা হাসান ইমাম, মামুনুর রশীদ, রামেন্দু মজুমদার, কে এস ফিরোজ, রোকেয়া প্রাচী, নির্দেশক নাসিরুদ্দিন ইউসুফসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দুপুর সাড়ে ১২টায় আমজাদ হোসেনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে এটিএন বাংলা কার্যালয়ে।

এরপর নিয়ে যাওয়া হবে এফডিসিতে। সেখানে একটি জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে হবে আরেকটি জানাজা।

আমজাদ হোসেনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী জামালপুরের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।

শুক্রবার ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ হোসেন। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

হাসপাতাল বাবদ ৬৫ লাখ টাকা খরচের কারণে মরদেহ দেশে আনা নিয়ে সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সব জটিলতা কাটিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনা হয়।

সেখান থেকে মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় তার শ্যামলীর আদাবরের বাসভবনে।

রাতে তার মরদেহ রাখা হয় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।