শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখছেন নারীরাও

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কেবল পুরুষরাই নয়, নারীরাও শান্তিররক্ষা মিশনে অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন ও পুলিশের ৭৭ জন সদস্য বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় কর্মরত আছেন। সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন নারী সদস্যের মধ্যে দুইজন নারী পাইলটও রয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বড় জায়গা জুড়ে অবস্থান বাংলাদেশের। জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের শান্তি ও সুরক্ষায় তারা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৬ হাজার ৫৪৯ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৫১৮ জন, নৌ বাহিনীর ৫০৫ জন ও বিমান বাহিনীর ৫২৬ জন কাজ করছেন। এসব শান্তিরক্ষীর মধ্যে ৬২ জন নারী সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৪৫ জন, নৌ বাহিনীর ২ জন এবং বিমান বাহিনীর ১৫ জন সদস্য কাজ করছেন।

কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমান বাহিনীর ১৫ জন নারী কর্মকর্তার মধ্যে দুই জন নারী পাইলট রয়েছেন। তারা হলেন— ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফী। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাতে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গোতে যান তারা। সেখানে তারা হেলিকপ্টারের চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বর্তমানে ৭৭ জন নারী পুলিশ সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত আছেন। মিশনে কনস্টেবল থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদ মর্যাদার নারী সদস্যরা রয়েছেন। এপর্যন্ত মিশন সম্পন্ন করে দেশে ফিরে এসেছেন এক হাজার ১০৯ জন নারী পুলিশ।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্যদের অবদান প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘মিশনে নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। মিশনের বিভিন্ন স্থানে নারী পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় জনসাধারণ বিশেষ করে নির্যাতিত নারীদের ভরসার স্থল হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। ওই সব দেশে স্থানীয় নারীরা ওয়ার এবং ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হন বেশি। এই ক্ষেত্রগুলোতে ভিক্টিমরা নারী পুলিশ সদস্যদের কাছে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নারী পুলিশ সদস্যদের আপনজন হিসেবে মনে করেন তারা। ’