শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার দাবি পূরণ করুন : সরকারকে বাংলাদেশ ন্যাপ

গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া চালু রাখার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ১৯৬৯’-এ শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবির অন্যতম একটি দাবি ছিলো পরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করা। তাদের সেই দাবি প্রেক্ষিতে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া চালু করতে বাধ্য হয়। যা স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশেও অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বাসমালিকরা ছাত্রদের সেই সুযোগ না দেবার ধৃষ্টতা দেখায় কি করে। সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার দাবি দ্রæত পূরণ করা।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিতে শিক্ষার্থীরা যে দাবি জানিয়েছে, তার সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছে। আর তাতে বাড়তি উত্তেজনা যোগ করছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এই ভূমিকা জনগণ ভালোভাবে গ্রহন করছে না। গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে ছাত্রদের যে আন্দোলন চলছে তাতে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। যা নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক।

তারা বলেন, ভাড়া বাড়ানোর কারণে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। তারা ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদ করেনি, কোনো ওজর আপত্তিও তোলেনি। তারা শিক্ষার্থিদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়া হোক এই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। এটা এমন কোনো জটিল বিষয় নয়। কিন্তু জটিল করে তোলা হচ্ছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আইয়ুব খানের মতো এক ঔপনিবেশিক শাসক যেসব দাবি পূরণ করেছিলেন সেগুলো তো স্বাধীনতার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন করার কথা। কেন করা হয়নি সেই প্রশ্ন মনে জাগছে আজকের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং মন্ত্রীদের আচরণ দেখে। সরকারের মন্ত্রীরা নানা সময়ে বক্তব্য নিয়ে সেটিকে আরো তামাশার বিষয় বানিয়ে ফেলেছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার দাবি পূরনে আর কোনো চাল-চালিয়াতির আশ্রয় নেয়া উচিত নয়। অবিলম্বে দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক। এটি শুধু ছাত্রদের জন্য নয়, সব অভিভাবকের জন্যও সামান্য হলেও স্বস্তির কারণ হবে।