শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে রোল মডেল : এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রীতিময়, সৌহার্দ্যপূর্ণ। সমাজে তারা মিলেমিশে বসবাস করে। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়।

এজন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে রোল মডেল।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী শামীম বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে আজগুবি নালিশ করে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানি দেয়, শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে কলুষিত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ দেশের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রমূলক কূটচালের সাহস করতে না পারে। কারণ, এদেশের মানুষ জানে এক মাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকে, শান্তিতে সব উৎসব পালন করতে পারে।

এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী-সুবিধাবাদী ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী দেশে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, দেশে একটি গণ্ডগোল লাগিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে কিছু করা যায় কি না, সেই অপচেষ্টা। বিএনপির জন্মটাই পেছনের দরজা দিয়ে এবং সে কারণেই তারা সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে। কিন্তু বিএনপির আর পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নাই। ক্ষমতায় আসতে হলে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর আগামী নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় এসে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন।

পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদ উজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি বাদশা শেখ, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সিকদার, মিহির চক্রবর্তী, আলমগীর হোসেন, জুয়েল শিউলী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নাসির সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জ্বল মীর মালত, মহিলা লীগের সভাপতি রাবেয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার মায়া, ছাত্রলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কলেজের আহবায়ক ইমরান খালাসী, যুবমহিলা লীগের সভাপতি আসমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক জুলিয়া আক্তার প্রমূখ।