শ্রমিকদের নিরাপদ রাখতে কলকারখানা পরিদর্শনের নির্দেশ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর

করোনা থেকে শ্রমিকদের নিরাপদ রাখতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত করোনার দ্বিতীয় পর্যায় মোকাবিলা এবং শ্রমিকদের করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মালিক এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কারখানাগুলোতে শিফটিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, শ্রমিকদের মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে দুটি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় শ্রম মন্ত্রণালয় সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মালিক এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গতবছর যে ২৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছিল তারা আইএলও এর সহযোগিতায় আমাদের তৈরি করা পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পোস্টার কারখানা পর্যায়ে বিলি করছে। তিনি এর সাথে শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে শ্রমঘন এলাকায় মাইকিং এর ব্যবস্থা করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম এর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভায় অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, সাকিউন নাহার বেগম, ড. সেলিনা আক্তার, জেবুন্নেছা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর মহাপরিদর্শক মো.নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং শ্রম অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আব্দুর লতিফ খান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অংশ গ্রহণ করেন।

সভায় শ্রম অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক কাজী শহিদুল ইসলাম এর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয় এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় কাজী শহিদুল করোনা লক্ষণ নিয়ে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।