সংসদ নির্বাচন : যে ভূমিকায় বিজিবি

সেনাবাহিনী মোতায়েনের পাঁচ দিন আগে থেকেই ভোটের নিরাপত্তায় মোতায়েন আছে আধা সামরিক বাহিনী বিজিবি। বাহিনীটির ৩৬ হাজারেরও বেশি সদস্য কাজ করছেন মোট ৮৭টি উপজেলায়।

বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, তারা মূলত রাস্তায় টহল দিচ্ছেন আর বেসামরিক প্রশাসন চাইলে কোথাও যাচ্ছেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর মোতায়েন হয় বাহিনীটির এক হাজার ১৬ প্লাটুন সদস্য। সেনাবাহিনীর মতোই তারা কাজ করছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। ৩০ ডিসেম্বর ভোট হলেও ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মোতায়েন থাকবে এলাকায়।

চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও সিলেটে আমাদের সহকর্মীরা জানান, এখন পর্যন্ত বিজিবি সদস্যদের টহল দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা হলেও পুলিশই সেগুলো মোকাবেলা করেছে। এমন কোনো পরিস্থিতি উদ্ভব হয়নি যেখানে বিজিবিকে ডাকতে হয়েছে।

বিজিবি ভোটের মাঠে কোন ভূমিকায় রয়েছে, জানতে চাইলে রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভোটকেন্দ্র চিনছি। আমরা মাঠে থাকায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। ভোটকেন্দ্রে চিনতে কাজ করলে ভোটের দিন আমাদের কাজ করতে সহায়ক হবে।’

ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান মনোনেশ দাস জানান, মোতায়েনের পর থেকে বিজিবি সদস্যরা রাস্তায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। জেলায় এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেখানে তাদের হস্তক্ষেপ করতে হবে।

বরিশালের ছয়টি আসনে ১০ প্লাটুন বিজিবির ২৫০ জন সদস্য মাঠে রয়েছেন। বরিশাল মহানগর পুলিশের নির্বাচনবিষয়ক কমিশনের সেলের মুখপাত্র নাঈমুল ইসলাম জানান, তাদের সদস্যদের এখন টহল দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে হয়নি।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার কথাই বলা আছে। তারা আইনশৃঙ্খলায় সহায়তার কাজ করবে। এখন পর্যন্ত তারা টহল দিচ্ছে।