সকালের পরিবর্তে দুপুরে পাবলিক পরীক্ষা শুরুর চিন্তা

২০২২ সালে পাবলিক পরীক্ষা সকাল ১০টার পরিবর্তে দুপুরে শুরুর চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, পরীক্ষাগুলো শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে, তখন অফিস আওয়ার থাকে এবং প্রচণ্ড যানজটও হয়। অনেক কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ে আসতে পারেনি। পরীক্ষার সময় দুপুরের দিকে করা যায় কি-না, যাতে যানজট কম থাকে- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে আমাদের ভাবনায় আছে। আজকের সভায়ও আলাপ করেছি।

তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে আমরা চেষ্টা করতে পারি, বিশেষ করে যেদিন সবচাইতে বেশি পরীক্ষার্থী থাকে অর্থাৎ মূল বিষয়গুলো বা আবশ্যিক বিষয়গুলোর যে পরীক্ষা হয়, সেদিন পরীক্ষাগুলো আরেকটু পরে শুরু করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব আগামী বছর থেকে। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে।

একটি কেন্দ্রে দুজন শিক্ষার্থী সকাল ১০টার পরে ঢুকেছে, তারা ঢুকতে বাধ্য হয়েছে, ১০টার ৫ মিনিট আগেও অন্তত ৮-১০ জন ঢুকেছে। কারণ ওই দিন শুভেচ্ছা জানানোর জন্য একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী রাস্তা ব্লক করে দাঁড়িয়েছিল। এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়ানো যায় কিনা, পরীক্ষার আগে কোনো সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা যায় কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি একেবারেই অনাকাঙ্খিত একটি বিষয় এবং এটি নিশ্চয়ই হওয়া উচিত না।

মন্ত্রী আরও জানান, এবছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২ ডিসেম্বর। পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

এর মধ্যে সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন।

মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা দেবেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন।

এইচএসসি (বিএম/ ভোকেশনাল) পরীক্ষা দেবেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন।