সঙ্গী অতিরিক্ত রাগী হলে যেসব কৌশল মেনে চলবেন

ঝগড়া-বিবাদ সব সম্পর্কেও একটু আধটু হয়ে থাকে। কথায় আছে, ঝগড়া না হলে ভালোবাসার সম্পর্কেও গাঢ় হয় না। তাই বলে সারাদিন রাত ঝগড়া করলে তো হবে না! অনেকেই দাম্পত্য জীবনে সর্বদা কলহের মধ্য দিয়ে যান। একসময় ভালোবাসার সম্পর্কে ভাটা পড়ে এবং বিচ্ছেদ ঘটে!

তাই একজনের রাগ হলে অন্যজনকে তা মানিয়ে নিয়ে চলা উচিত, তাহলেই না-কি সম্পর্ক ঠিক থাকে- এমনই মত গুরুজনদের। নারী বা পুরুষ অনেক সঙ্গীই আছেন যারা অযথা সন্দেহ করেন বা কথায় কথায় রেগে যান।

এমন সময় অপরজন কিছু বললে অশান্তি আরও বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে মারামারি পর্যন্তও হতে পারে। এজন্য আপনার সঙ্গী যদি অতিরিক্ত রাগী হয়ে থাকেন; তাহলে আপনাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। জেনে নিন সেগুলো-

>> সঙ্গী যখন প্রচণ্ড রেগে থাকবেন; তখন তার সঙ্গে ভালো-মন্দ কোনো বিষয়েই আলোচনা করবেন না। নিজের মতো করে থাকতে দিন তাকে। সে কিছু চাইলে তা এগিয়ে দিন। যারা হঠাৎ রেগে যান; তাদের মন অনেকটাই সরল হয়। সাময়িকভাবে রেগে গেলেও পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন।

>> সঙ্গী রেগে উত্তেজিত হয়ে আপনাকে যা ইচ্ছে তাই বললেও তখনকার মতো চুপ থাকুন। যদিও বিষয়টি মানা মুশকিল। তবুও তাকে পালটা আঘাত করবেন না। নরমভাবে কথা বলে তাকে থামানোর চেষ্টা করুন। তারপরও যদি সঙ্গী অহেতুক আপনাকে কথা শোনাতে থাকে; তখন চড়াও হয়ে প্রতিবাদ করুন।

>> যখন ভালো মুডে থাকবেন আপনার সঙ্গী; তখন তার সমস্যা জানার চেষ্টা করুন। যেকোনো কারণে হয়তো তিনি রেগে থাকেন! সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো আপনি সমাধান করতে পারবেন না। তবুও তার কথা গুরুত্ব সহকারে শুনুন।

>> অনেক সময় গোপন কথা শেয়ার করতে না পেরেও রাগ বাড়তে থাকে। আগে সঙ্গীর ভালো বন্ধুর হতে হবে। তাহলে সে তার মনের গোপন কথা শেয়ার করবে। তখন অশান্তিও কম হবে।

>> জোর করে সঙ্গীর স্বভাব পরিবর্তনের জন্য জোর করবেন না। অতিরিক্ত রাগী মানুষের সঙ্গে জোর খাটিয়ে নয় বরং নরম সুরে কথা বলে বোঝানো উচিত। তাকে তার মতোই থাকতে দিন। তবে তার ভুলগুলো মাঝে মাঝে ধরিয়ে দিন।

>> যদি কোনোভাবেই আপনি সঙ্গীকে থামাতে না পারে বা দিনকে দিন তার রাগের পরিমাণ বাড়তে থাকে; তখণ মনোবিদের সাহায্য নিন।

>> সংসারে কলহ হতেই পারে, তাই বলে নিজেদের কথা সবার কাছে বলে বেড়ানো উচিত নয়। এসব শুনে অন্যরা আপনাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে।

>> রাগ মানুষের মধ্যে থাকবেই। কারো কম আর কারো বেশি এই পার্থক্য। রাগ দমন করা গেলেও কখনো সারানো যায় না। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখুন। অত্যাধিক রাগের বশবর্তী হয়ে মানুষ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন।

কখনো আবার খুনোখুনির পর্যায়ে চলে যায় দাম্পত্য কলহ। তাই সঙ্গীর রাগ ও ঝগড়ার পরিমাণ বাড়তে থাকলে, পরিবারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এর সমাধান করুন।