চবির কয়েকটি হল থেকে অস্ত্র উদ্ধার

বৃহস্পতিবার দিনভর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে রাতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১০টা থেকে জেলা পুলিশের শতাধিক সদস্য কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান চালায়। পুলিশের এ অভিযানে সহযোগিতা করেছে চবি প্রশাসন।

রাত ১০টা থেকে অভিযান শুরু করে চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। এ সময় ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত চবির শাহজালাল, আলাওল, সোহরাওয়ার্দী, এ এফ রহমান, আব্দুর রব ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি করে তিন বস্তা লোহার রড়, ধারালো দা, ছুরি, কিরিচ, চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে রাতে হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে চবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আখতারুজ্জামান হল তল্লাশি এবং অস্ত্র উদ্ধারে কথা স্বীকার করেছেন। কী পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে তিনি তা বলতে পারেননি।

অভিযানকালে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এসব হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলে উপস্থিত থাকলেও পুলিশ তাদের আটক করেনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়।

আহতরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের জামান নুর, সহসভাপতি আবুবক্কর (লোকপ্রশসন), এস এম মাসুম খান (ইতিহাস) ও সভাপতি গ্রুপের সাইফুল (একাউন্টিং), আশিক (ব্যাংকিং) ও নাফি (আইন)। বর্তমানে ওই দুই হলের সামনে অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী মাসুম বিল্লাহকে মারধর করে সভাপতির অনুসারীরা। তাৎক্ষণিক এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা জড় হয়ে সভাপতির অনুসারীদের ধাওয়া দিলে তারা শাহজালাল হলে এসে অবস্থান নেয়।

পরে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা শাহ্ আমানত হলে ও সভাপতির অনুসারীরা শাহজালাল হলে অবস্থান নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে দুগ্রুপের সাতজন নেতা-কর্মী আহত হয়।