সব দল নির্বাচনে আসায় স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই বিজয়ী হবে।

রোববার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। নির্বাচনে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের উপযুক্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীকেই প্রার্থিতা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এরমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিন দিন ধরে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে আওয়ামী লীগ। আর রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট, যেখানে বিএনপি নেতারাও ছিলেন।

এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় সংসদীয় বোর্ডের সভায় বক্তব্যে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে নির্বাচন করব। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে- সেটাই আমরা করব। সবাই যেহেতু নির্বাচন করবে সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাচ্ছি।’

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংদসীয় বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও রশিদুল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অসুস্থতার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দীন সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া কাজী জাফরুল্লাহ বিদেশে রয়েছেন।

এরআগে নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবিতে ইসিতে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানানোর পর বিকালে নির্বাচন কমিশন বরাবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমলগীর স্বাক্ষরিত চিঠি দেয় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।