সম্পদের সিংহভাগ দান করে দিতে চান অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস: সিএনএন

সম্পদের সিংহভাগ দান করে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য বলছে, বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন তিনি। সম্পদ দান পরিকল্পনার খুঁটিনাটি জানাননি বেজোস। তবে এর বড় একটা অংশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং জনহিতকর কাজে ব্যয়ের জন্য দান করবেন বলে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি।

বর্তমানে বেজোসের সম্পদের মূল্য ১২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। এই প্রথমবারের মতো নিজের বিপুল পরিমান সম্পদ থেকে সিংহভাগ দান করার কথা বললেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে সিএনএনের সংবাদকর্মী ক্লোই মেলাস বেজোসের অর্থ-সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, প্রশ্ন তোলার পর উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তাই করতে চাই। কঠিন বিষয়টা হচ্ছে কাজটা নিয়ন্ত্রিতভাবে করার সম্ভাব্য উপায় নিয়েৃ এটা সহজ নয়। অ্যামাজন নির্মাণও সহজ ছিল না। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, দলে বুদ্ধিমান কর্মীদের লেগেছে এবং এখন আমার উপলব্ধি হচ্ছে জনহিতকর কাজে দান করাও একই রকমের। নানাভাবে অকার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করি আমি। তাই, অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা নির্মাণ করছি আমরা।

২০২০ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য ১ হাজার কোটি ডলার খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘বেজোস আর্থ ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে বেজোসের প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের ভূমিকাই প্রশ্নবিদ্ধ।
২০১৯ সালে বেজোস ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ ‘কার্বন নিউট্রাল’ কোম্পানিতে পরিণত হবে অ্যামাজন। কিন্তু পরের দুই বছরের কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে কার্বন নিঃসরণের হার বেড়েছে ১৮ শতাংশ।

গত বছরেই অ্যামাজনের শীর্ষ নির্বাহীর পদ ছেড়েছেন বেজোস; তবে নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে এখনো ই-কমার্স জায়ান্টের সঙ্গেই আছেন তিনি।