নরসিংদীতে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক-১০

নরসিংদীর চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পরিচালিত এই অভিযানে ১টি রিভলবার, ককটেল সাদৃশ্য সরঞ্জাম ও মশাল জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

এসময় ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন এর নেতৃত্বে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে সাংগঠনিক বৈঠক চলছিল। এতে যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কবির কামাল, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারক উদ্দিন ভূঁইয়া, নরসিংদী শহর বিএনপি সদস্য মোঃ সোহেল রানাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রল কবির খোকন কার্যালয় ত্যাগ করার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় তল্লাশি চালিয়ে কার্যালয়ের ছাদ থেকে মশাল ব্যবহৃত ৪০/৫০টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কার্যালযরে সামনে বস্তায় ভর্তি ককটেল সাদৃশ্য বস্তা জব্দ করা হয়। লাঠি ও ককটেল সদৃশ্য বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় নরসিংদী শহর বিএনপির সদস্য মোঃ সোহেল রানাসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম সোহেল কার্যালয থেকে বের হয়ে নিজ গাড়িতে উঠার সময় তার কাছ থেকে ১টি রিভলবারসহ তাকে আটক করা হয়।

যাগাযোগ করা হলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রল কবির খোকন বলেন, সন্ধ্যায় জেলার যুগ্ম আহ্বায়কদের নিয়ে একটি ঘরোয়া সভা ছিল। এসময় পুলিশ হঠাৎ করে আমাদের কার্যালয় ঘিরে রাখে। বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করা ও নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে পুলিশ নাটকীয় অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ১০/১২ জন দলীয় নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, পুলিশের কাছে নাশকতার গোপন তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ১টি রিভলবার, ককটেল তৈরির সরঞ্জাম ও মশাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অভিযান শেষ হওয়ার পর আটকের সংখ্যা ও বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবো।