সরকার উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায় : ঐক্যফ্রন্ট

সারা পৃথিবীর সব সরকার, সব দল শান্তি চায় বলে মনে করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই জোটটির নেতাদের মতে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চান সহিংসতা। সরকার উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়। বুধবার (২৪ অক্টোবর) সিলেট মহানগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত ফ্রন্টের সমাবেশে তারা এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যুক্তফ্রন্ট নেতা আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘আপনার পাতা ফাঁদে পা দেবো না। হজরত শাহজালাল, শাহ পরাণ ও ওসমানীর কবর জিয়ারত করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শপথ নিয়েছেন। এই যাত্রা সফল হবে। আমরা পরাজিত হবো না।’

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আজকে থেকে সরকারের ভাটার দিন শুরু হলো।’

জেএসডি নেতা তানিয়া রব বলেন, ‘আজ সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীর পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।’

এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ সমর্থন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আজকে এই সমাবেশ থেকে অলি আহমেদের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। যে দাবি নিয়ে ঐক্য হয়েছে, তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। এলডিপির যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমও জনসভায় যোগ দেন।

বিএনপি, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, জেএসডি ও নাগরিক ঐকের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিলেটের তালতলা ভিআইপি রোডের পাশে জেলা রেজিস্ট্রারী মাঠে। বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর দুটায় কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ারসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিলেট শাখার উদ্যোগে সমাবেশ চলছে।

ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এছাড়া ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির প্রতেক সদস্য এবং চার দল থেকে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী।

সমাবেশে ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি, খেলাফত মজলিস, কল্যাণ পার্টি, জমিয়ত, জাতীয় পাটির নেতারা বক্তব্য রাখেন।