সাঈদীর মৃত্যুতে পোস্ট করে পদ হারালেন ছাত্রলীগের ১৭ নেতা

জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টসহ শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লায় ছাত্রলীগের ১৭ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর রাতে) কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাদের অব্যাহতির কথা জানানো হয়।

রবিবার রাতেই ১৭ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দীন। তিনি জানান, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তবে ছাত্রলীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য মাধ্যমে পোস্ট ও লেখালেখির কারণে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের এই ১৭ পদধারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা হচ্ছেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাতুল রহমান আশিক, বাঙ্গরা বাজার ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আবুল কাসেম, দেবীদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান, মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. মেজবাউদ্দিন, মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিটু মিয়া, মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজমুল খান, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. ইসমাইল, চান্দিনার দোল্লাই নোয়াবপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. তারেক, মেঘনার লুটেরচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈমুল ইসলাম শান্ত।

আরো রয়েছেন চান্দিনার গল্লাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম, মহিচাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ উদ্দিন মোল্লা, বাতাঘাসি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, দেবীদ্বারের বড়শালঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছাদেক হোসেন ব্যাপারী, চান্দিনার বাতাঘাসি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. ফাহিম, গল্লাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত তানজির, বাতাঘাসি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. ফাহিম, দেবীদ্বারের বারকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনামুল হক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেন, রাজাকারপ্রেমী যারা আমাদের সংগঠনে ঘাপটি মেরে পদ-পদবি বহন করছিলেন, আমরা তাদের বহিষ্কার করেছি।

সাঈদীর মৃত্যুর পর থেকে আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রাখছিলাম। এরপর যারা তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই মতাদর্শের আরো যদি কেউ থেকে থাকেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরও বহিষ্কার করা হবে।