সাজা শেষের আগেই সঞ্জয়ের মুক্তি কেন?

১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু সংশোধানাগারে ভালো আচরণের জন্য মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। আর এবার সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বম্বে হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারকে এ বিষয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি আর এম সাভান্ত ও বিচারপতি বিচারপতি সাধনা যাদবের ডিভিশন বেঞ্চ।

১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ। ১২টি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাণিজ্যনগরী মুম্বাই। বিস্ফোরণের মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। আহত হন ৭ শ’রও বেশি মানুষ। আর এই বিস্ফোরণের মামলায় নাম জড়ায় অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। ২০০৭ সালে মুম্বাইয়ের টাডা আদালতে অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হয় সঞ্জয় দত্তের। পরে টাডা আদালতের রায়ই বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ ছয় বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়। ২০১৩ সালে মে মাসে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয় দত্ত। আদালতের নির্দেশ মেনে পুনের ইয়ারধা সংশোধানাগারে রাখা হয় তাঁকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংশোধানাগারে ভালো ব্যবহারের জন্য সঞ্জয় দত্তকে মুক্তি দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু, তখনও তাঁর সাজা মেয়াদ শেষ হতে ১৮ মাস বাকি ছিল। সাজার মেয়াদ শেষের আগে সঞ্জয় দত্তকে মুক্তির দেওয়ার প্রতিবাদে বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন পুনেরই এক বাসিন্দা।

সোমবার মামলার শুনানিতে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কেন সঞ্জয় দত্তকে মুক্তি দেওয়া হলো, সরকারি আইনজীবীকে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেন বিচারপতি। এ বিষয়ে হলফনামা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় চান মহারাষ্ট্রের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আশুতোষ কুম্ভাকোনি। এরপরই মহারাষ্ট্র সরকারকে এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি আর এম সাভান্ত ও বিচারপতি সাধনা যাদবের ডিভিশন বেঞ্চ।