মুখ বন্ধ রাখলেই কোচ হওয়ার সুযোগ পাবেন শেহবাগ!

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দারুণ জনপ্রিয়। যে কোনও বিষয়ে টুইটারে তাঁর মজাদার প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা। কিন্তু এবার বীরেন্দ্র শেহবাগের সেই প্রতিভাই তাঁকে সমস্যায় ফেলতে চলেছে। ভারতীয় দলের কোচ হতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ বন্ধ রাখতে হবে তাঁকে। বিসিসিআই-এর অন্দর থেকে ভেসে আসছে এমনই খবর। আর এই কারণেই হয়তো বীরেন্দ্র শেহবাগের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে পড়ছে। অনিল কুম্বলের পর টিম ইন্ডিয়া দায়িত্ব কে পাবেন, এই প্রশ্নেই এখন জেরবার ক্রিকেট দুনিয়া। কুম্বলের বিদায়ের পরই বিরাট কোহলিদের পরবর্তী কোচ হিসেবে প্রকট হয়েছিল বীরেন্দ্র শেহবাগের নাম।

শোনা গিয়েছিল, দুই লাইনের একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন প্রাক্তন মারকাটারি ভারতীয় ওপেনার। যেখানে তিনি লেখেন, আইপিএল-এ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের মেন্টর ও কোচ এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলেছেন। এমন আবেদনপত্র পেয়ে নাকি বোর্ডের মনে হয়েছিল, কোচ হওয়ার বিষয়টিকে খুব একটা গম্ভীরভাবে নিচ্ছেন না নজফগড়ের নবাব। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শেহবাগকে নাকি ফের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। তবে বীরুর কোচ হওয়ার পথে বড়সড় বাধা হয়ে চলেছে তাঁর বেশি কথা বলার অভ্যাস।

সূত্রের খবর, বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় সব বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত কথা বলেন বীরু। তাঁকে যদি ভারতীয় কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়, তাহলে কিন্তু তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। এত কথা বললে চলবে না। কোনও ম্যাচে ভারত হেরে গেলে সাংবাদিক বৈঠকে হয়তো তিনি বলে দিলেন, তাতে কী হয়েছে? তখন তো সমস্যাই হবে। এসব কথার কথা। আসলে শেহবাগ কোচ হলে দলে ফিরতে পারে কুম্বলে জমানাই। আর তাই নানা অজুহাত দিয়ে তাঁকে এড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। এ বিষয়ে যদিও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বীরু।

শেহবাগ ছাড়াও কোহলিদের কোচ হওয়ার দৌড়ে উঠে এসেছে প্রাক্তন অজি পেসার টম মুডি, ইংলিশম্যান রিচার্ড পাইবাস, প্রাক্তন ভারতীয় তারকা দোদ্দা গণেশ এবং লালচাঁদ রাজপুতের নাম। তবে সোমবার সরকারিভাবে রবি শাস্ত্রী আবেদন জমা দেওয়ার পর থেকে বাকিদের সম্ভাবনা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। টিম ডিরেক্টর হিসেবে শাস্ত্রীর সাফল্য এবং কোহলি-শাস্ত্রী সুসম্পর্কের জন্যই এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। ১০ জুলাই স্পষ্ট হবে, হেডস্যার হিসেবে শচীন-সৌরভ-লক্ষ্মণরা কাকে বেছে নেন।