সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ

কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের জমি ক্রয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

জানা গেছে, উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের নিমিত্তে ৬৪ টি পুনর্বাসিত পরিবারের গৃহ নির্মাণে জমি ক্রয়ের জন্য কলারোয়া উপজেলার ৪ টি মৌজায় জমি ক্রয় করা হয়। ১৩৮.৬০ শতাংশ জমি ক্রয় বাবদ ৭৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯ শত ৯১ টাকা ও রেজিষ্ট্রেশান বাবদ ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৩ শত ৪০ টাকা প্রদান করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের এক পরিপত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (স্মারক নং ০৩ ,০২, ০০০০,৭০১, ০২,৪৯৮, ২২-৬০৮) এক পত্রে জমি ক্রয় ও অর্থ প্রদানের জারি করা করা হয়।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস জানান, বর্তমান মৌজা রেটে জমি ক্রয় করা সম্ভব না হওয়ায় উপজেলা ভূমি কমিটির সমন্বয়ে জমির মালিকের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে জয়নগর ইউনিয়নের জয়নগর মৌজায় ৪৫.৬০ শতাংশ , হেলাতলা ইউনিয়নের গণপতি পুর মৌজায় ৩২.০০শতাংশ , সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর মৌজা ২১.০০ শতাংশ ,কেড়াগাছি ইউনিয়নের বাকশা বাগাডাঙ্গা মৌজায় ৩৩.০০ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে তৃতীয় পর্যায়ের মুজিববর্ষের গৃহ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয় করা হয়েছিল যার গড় মূল্য ছিল ৬৭ হাজার ৬ ‘শ ৭৬ টাকা ও ৭৬ হাজার ৬’শ ৮০ টাকা। চতুর্থ পর্যায়ের জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় পর্যায়ের তুলনামূলক কম মূল্যে জমি ক্রয় করা হয়েছে, যার গড় মূল্য ৫৭ হাজার ৪’শ ৪২ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক জমি ক্রয় সম্পন্ন করে, ক্রসড চেকের মাধ্যমে জমি দাতাকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রত্যেক চেক গ্রহীতা চেকের মুড়িতে এবং চেক রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর গ্রহণ করত চেক প্রদান করা হয়েছে।

তবে প্রকল্পে জমি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ কে চেকের পরিবর্তে নগদ টাকা দেয়া হয়েছে এমন ছড়াচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এছাড়া সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানান ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।

প্রকল্পে জমি বিক্রেতা জয়নগর গ্রামের মৃত আব্দুল গনি সরদার ছেলে আব্দুল লতিফ জানান, আমি আমার ৪৫.৭ শতক জমি বিক্রয় বাবদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ২৫ লক্ষ আশি হাজার টাকার চেক বুঝে পাই।