সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিদ্যুতের যাওয়া-আসার খেলায় ভোগান্তিতে মানুষ

সবেমাত্র শীত শেষে শুরু হয়েছে গরম মৌসুম। তারউপর চলছে পবিত্র মাহে রমজান। এরই মাঝে বিদ্যুতের যাওয়া-আসার খেলায় অতিষ্ঠ জনজীবন। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পবিত্র রমজানের প্রথম দিন থেকেই অধিকাংশ এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে রোজাদার মুসল্লিসহ অন্যরাও ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক সাধারণ মানুষ জানান, দিনের বিভিন্ন সময় ও রাতে ক্ষণে ক্ষণে ও দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুত উধাও হয়ে যাচ্ছে। এমনকি কিছু এলাকায় ইফতার, তারাবি ও সেহেরির সময়েও বিদ্যুতহীন হতে দেখা গেছে।

এনিয়ে মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, গরমের মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং, যেনো অসহ্যকর হয়ে উঠছে। দিনে-রাতে ১৫-২০ মিনিট বা ৩০-৪৫ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। অর্থাৎ ঘন্টায় ২-৩ বার বিদ্যুৎ অফ হচ্ছে। এই লোডশেডিংয়ের কারণে বিশেষ করে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে থাকা ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীও নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে মাঠে সেচ মৌসুম চলছে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বহু মোটর পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন- আবারো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। গত কয়েক বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ খুব ভালো ছিলো। বর্তমানে বিদ্যুতের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ বিভাগের স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ পাওয়ার বিষয়ে গত ২৪ মার্চ সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর এখন বড় চ্যালেঞ্জ নিরবিচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ। রোজায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের কথাও জানান মন্ত্রী।

কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যর বিপরীতে রমজানের প্রথম দিন উপজেলাবাসীকে অতিবাহিত করতে হচ্ছে অসহনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে।

রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না দিতে পারায় বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলাকে দায়ী করে সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগিরা।