যশোরের রাজগঞ্জে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ

একদিকে গরম, আর একদিকে পবিত্র রমজান মাস। এমন সময় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ এলাকার মানুষেরা এই লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এই তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং, যেনো অসহ্যকর হয়ে উঠছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে রোজাদার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। দিনে-রাতে ১৫-২০-৩০-৪৫ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। অর্থাৎ ঘন্টায় ২-৩ বার বিদ্যুৎ অফ হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন- আবারো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। গত কয়েক বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ খুব ভালো ছিলো। বর্তমানে বিদ্যুতের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাব। সুষ্ঠভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রাজগঞ্জবাসি বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে- বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সকল পর্যায়ের ব্যবস্যা বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না। তাদের লেখাপড়ারও ক্ষতি হচ্ছে চরমভাবে।

এই লোডশেডিংয়ের কারণে বিশেষ করে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে থাকা ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীও নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে মাঠে সেচ মৌসুম চলছে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বহু মোটর পাম্প নষ্ট হয়েগেছে।

রাজগঞ্জের সচেতন সমাজ বলছেন- পবিত্র রমজান মাসে ইফতার এবং তারাবির নামাজের সময় প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একদিকে তীব্র দাপদাহ অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে মানুষ। বিদ্যুৎ বিভাগ, গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এব্যাপারে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর রাজগঞ্জ সাব জোনাল অফিস থেকে বলা হচ্ছে- প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তার মধ্যে অতিরিক্ত গরম। বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা বেশি। গ্রহকের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগকে। এরমধ্যেও আমরা গ্রহকের চাহিদা পূরণ করতে চেষ্টা করছি।