সাদুল্লাপুরে ১৫০ কার্ডধারীর ভাগ্যে জোটেনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১৫০ জন কার্ডধারি ১০ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ক্রয়ে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ধাপেরহাট ইউপির দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগপত্র ইউএনও’র বরাবরে দাখিল করেছে ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার অসহায়-দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। খাদ্য সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করে চলছেন। প্রত্যেক মাসে তাদের ৩০ কেজি চাল কেনার সুযোগ রয়েছে তাদের। সরকারের এমন সুবিধাভোগ করে অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নেও চালু রয়েছে কর্মসূচিটি। তবে এখানে রয়েছে ভিন্ন কৌশলী চিত্র।

সম্প্রতি ওই পরিষদের দায়িত্বশীলরা নিজ স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ১৫০ জন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে কার্ডগুলো জমা নেয়। নতুন করে কার্ড দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে পুরাতন কার্ডগুলো নেয়া হয়। এরপর ভুক্তভোগীরা তাদের কার্ড চাইলে নানা টালবাহনা করে আসে। এমন পরিস্থিতির কারণে চাল উত্তোলনে বঞ্চিত রয়েছে ওইসব কার্ডধারি মানুষরা। যার ফলে করোনার লকডাউনে কর্মহীন কার্ডধারী মানুষরা অতি কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে চাল বঞ্চিত কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানসহ দায়িত্বশীলরা তাদের নিজ স্বার্থ হসিলের জন্য আমাদের চাল বিতরণ বন্ধ করেছে। এখন চাল তুলতে না পারায় টাকার অভাবে অন্ন যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন, অনেকের নাম দুই বার হওয়ায় ১০-১২ জনকে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ১৫০ জনকে বাদ দেয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।