সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ভূল সিজারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে ভূল সিজারে মরিয়ম খাতুন (২৬) নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে বেলকুচি পৌর এলাকার শেরনর বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মরিয়ম খাতুন বেলকুচি উপজেলার চর জোকনালা গ্রামের সুমনের স্ত্রী। পরিবারের অভিযোগ ভূল সিজার করায় এ ঘটনা ঘটেছে। কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেও ডাক্তারের ভুল সিজারে মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির।

নিহত মরিয়র খাতুনের স্বামী সুমন জানান, আজ সকালে আমার স্ত্রীকে আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বাচ্চার অবস্থা ভালো না আজকের মধ্যেই সিজার করাতে বলেন। পরে দুপুর ২টার দিকে সিজার করাতে নিয়ে যান। পরে ডাঃ কমল কান্তি ও বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ.কে.এম মোফাখখারুল ইসলাম অপারেশন রুমে গিয়ে সিজার করেন। তার কিছুক্ষণ পর অপারেশন রুমে গিয়ে দেখি মরিয়ম অজ্ঞান হয়ে আছে। নার্সরা জানান রোগীর এখনো জ্ঞান ফেরেনি। কিছুক্ষণ সময় লাগবে এই বলেই ডাক্তার ও নার্স পালিয়ে যান। পরে বুঝতে পারি আমার স্ত্রী মারা গেছে। তিনি আরও বলেন ডাক্তারদের ভুল সিজারের কারণেই আমার স্ত্রী মারা গেছে।

বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালের মালিক রহমান আলী জানান, সিজারটা বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ.কে.এম মোফাখখারুল ইসলাম ও ডাঃ কমলকান্তি করেছেন। রোগী কি ভাবে মারা গেলো তারাই ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে ডাঃ কমল কান্তির সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

তবে এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ.কে.এম মোফাখখারুল ইসলাম সিজারের কথা স্বীকার করে বলেন আমরা যখন হাসপাতাল থেকে চলে আসি তখনো সুস্থ ছিল হয়তো স্টোক করে মারা যেতে পারে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রাম পদ রায় জানান, বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা ইতিপূর্বেও ঘটেছে। আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেবো।