সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ব্রীজের কাজ শেষ না করেই ৩১ লক্ষ টাকা বিল উত্তোলন!

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ব্রীজের কাজ শেষ না হতেই ৩০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬’শ ৫৬ টাকার বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জাইলার মোড় থেকে ঘাটাবাড়ি যাওয়ার একমাত্র রাস্তার উপর দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের ২০১৮-১৯ এর অর্থায়নে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করা হয়।

এলাকাবাসীর দাবি ব্রীজটি নির্মাণ হওয়ার আগেই বন্যার পানি চলে আসে। ফলে তরিঘরি করে ব্রীজটি দাঁড় করিয়েই চলে যায় কর্তৃপক্ষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজের দুই পাশে কোন সংযোগ সড়কের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই। অতি নিন্মমানের সিমেন্ট, সল্প মূল্যের রড, ইট এবং নির্মাণ ত্রুটির কারনেই ব্রীজটি যেটুকু কাজ হয়েছে সেটাও অস্তিত্ব সংকটে।

ব্রীজটি অসম্পন্ন রাখার ফলে ওই এলাকার ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজটি অসম্পন্ন থাকার কারনে পণ্যসামগ্রী পরিবহণ ও চলাচল করতে হচ্ছে নৌকায়, ফলে ভারী পণ্য পরিবহন করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে ভ্যান চালক ও স্থানীয়দের। তারা বিভিন্ন পন্থায় মালামাল ও যাতায়াত করলেও দ‚র্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু সহ বৃদ্ধ বয়সী নারী পুরুষদের।

স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্যরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কংক্রিট ব্রীজটি নিন্মমানের সামগ্রী এবং অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হয়। ফলে বর্ষায় ব্রীজের উপর ৮ ফুট পানি হয়, সংযোগ সড়ক তো নেইই তার ওপর ব্রিজের উপরে পানি হওয়ায় নৌকা চলাচল করতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার পানি ব্রীজের ৮ ফুট উপরে উঠায় নৌকা চলাচল করতে বিঘ্ন ঘটে। ফলে অনেক ইঞ্জিন চালিত নৌকার নীচের অংশ ফেটে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

জালালপুর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল বলেন, জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা, আরকান্দি সহ ৫/৬টি গ্রামের চলাচলের জন্য একটি মাত্র রাস্তা হওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, সরকারের কাছে আকুল আবেদন ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার অথবা অপসারণ করে এলাকাবাসীর চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই ব্রীজটি আমার সময়ের নয়, এটি আমার আগের কর্মকতা জিন্দার আলীর সময়ে করা।

এ বিষয়ে জিন্দার আলীকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে না পাওয়া খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।