সিলেটের জৈন্তাপুরে কৃষকের পুকুরে ভূমিখেকো থাবা!

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার এক অসহায় কৃষকের পুকুর মাটি ভরাট করে জোরপূর্বক দখল করে নিচ্ছে একটি ভূমিখেকো চত্রু। থানায় ডায়রী করার পরও পুলিশি বাধা উপেক্ষিত।
ঘটনাটি ঘটেছে জৈন্তাপুর উপজেলার আগফৌদ গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে আবুল ফয়ছল’র মালিকানা জমি গোয়াইনঘাট উপজেলার পাচসেউতি মৌজায়।

এব্যাপারে আবুল ফয়ছল সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- গোয়াইনঘাট উপজেলার পাচসেউতি মৌজা স্থিত সাড়ে ১৬ শতক জমি তিনি মৌরসী সূত্রে মালিক বিদ্যমান। কিন্তু কুরিহাই গ্রামের মুবশ্বির আলীর ছেলে বিলাল আহমদ, জাবেদ মিয়ার ছেলে হাসন মেম্বার, ইছহাক মিয়ার ছেলে মখলিছুর রহমান, জৈন্তাপুর উপজেলার আগফৌদ গ্রামের রূপন মিয়ার ছেলে আব্দুস শুকুর একটি সংঘবদ্ধ ভূমিখেকো চত্রু। গত ১০ মার্চ গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আবুল ফয়ছলকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক পুকুরে মাটি ভরাট করে তারা তাদের দখলে নিয়ে যায়। এরূপ ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বুঝতে পেরে আবুল ফয়ছল ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। তাছাড়া ২০২০ সালের ৭ জুলাই বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে এবং ভূমিখেকো চত্রুকে বিভিন্ন রকম হুশিয়ারী দিয়ে থাকে। মাটি ভরাটের ঘটনার পর গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দিলে রহস্যজনক কারনে তা আমলে নেয় নি থানা পুলিশ। তাই অনেকটা নিরুপায় হয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি ভূমিখেকোদের কবল থেকে উদ্ধারে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এব্যাপারে আবুল ফয়ছল বলেছেন, সরকারের এস.এ এবং বি.এস সহ সকল রেকর্ডে এই জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বলে প্রমানিত। যেখানে প্রায় শত বছরের পুরনো একটি পুকুর রয়েছে। কিন্তু বিবাদীগণ গায়ের জোরে এই পুকুরটি মাটি ভরাট করে এবং আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পুলিশ সুপারের স্বরনাপন্ন হইলাম।