সিলেটের বাদেপাশায় নির্মাণাধীন দ্বীতল ভবন থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সিলেটের গোলাপগঞ্জ বাদেপাশা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের একটি নির্মাণাধীন দ্বীতল ভবন থেকে এক ব্যক্তিত্বির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত যুবকের নাম সেলিম উদ্দিন (৫১) তিনি পশ্চিম খাগাইল গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, বুধবার (১৪ জুন) সালে ভোররাত ৩টার দিকে সেলিম উদ্দিনের পাশের বাড়ির একটি নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনের বাইরের অংশে ছাদের সাথে তাঁর লাশ ঝুলতে দেখতে পান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে সকাল ১০টায় থানা ও কুশিয়ারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।

উদ্ধার হওয়া সেলিম উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা । তবে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে নিহত সেলিমের ভাই নাজিম উদ্দিন জানান সেলিম পেশায় রাজমিস্ত্রী। পাশাপাশি খাগাইল গ্রামের আখলুছ হাজীর বাড়িতে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করতেন। বেশ কিছুদিন থেকে একটি মহল প্রবাসী আখলুছ হাজীর বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে তাকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। এ নিয়ে ৩/৪দিন আগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তিনি সেই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়লেও একটি মহল তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই আতঙ্কে তিনি রাস্তাঘাট ও বাজারে যাওয়া বাদ দিয়ে দেন।

তিনি বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বণগাওয়ে শশুড়বাড়ি গিয়ে রাত্রীযাপন করেছেন বলে জানান তার পরিবার। ঘটনার আগের দিন তার মেয়ের অসুস্থার খবর পেয়ে নিজ বাড়িতে আসেন। ওই দিন ভোরে বাড়ি থেকে কে কারা ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার স্থানীয়রা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান একটি দ্বীতল নির্মাণাধীন ভবনে।

ঘটনার খবর পেয়ে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) রাশেদুল হক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী ও ওসি (তদন্ত) সুশংকর পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ইতোমধ্যে পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নেমেছে জানা গেছে।