সিলেটে চলছে সীমিত যান চালাচল! নগরীর পয়েন্টে পয়েন্টে বাঁশ ব্যারিকেড

সিলেটে চলছে সীমিত যান চালাচল, নগরীর পয়েন্টে পয়েন্টে বাশ ব্যারিকেড দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ রয়েছে কঠোর অবস্থানে। লকডাউনের ৭ম দিনে ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার ঘরের বাইরে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখতে কঠোর অবস্থানে ছিলো সিলেট মহানগর পুলিশ। সকাল থেকে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

নগরীর কালিঘাট, বন্দরবাজার, মদিনা মার্কেট ও আম্বরখানা এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় জনসমাগম অন্য দিনের তুলনায় বাড়তে থাকলে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে অনেকেই দ্রুত সরে যান।

১৯ এপ্রিল সোমবার ও ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে সারাদিন লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশও কঠোর অবস্থান নেয়। যারাই বের হয়েছেন, চেকপোস্টে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে পুলিশ। যাদের আইডি কার্ড আছে বা যারা জরুরি সেবার আওতায় চলাচল করছেন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যারা আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে পারছেন না বা যারা জরুরি সেবার আওতাভুক্ত হয়ে চলাচল করছেন না এবং ঘর থেকে বের হওয়ার সন্তোষজনক জরুরি কারণ প্রদর্শন করতে পারছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে দেখা যায় পুলিশকে। এছাড়া, বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড করায় এসব পয়েন্টে জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহনসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এতে লকডাউনে এসব এলাকায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়নে সিলেটের ১৪ টি পয়েন্টে বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। যার মধ্যে নগরের মধ্যে ৮টি পয়েন্ট রয়েছে, বাকি ৬টি পয়েন্ট নগরীর বাইরের এলাকা গুলোতে।

যে ১৪টি পয়েন্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেই সড়ক গুলো হলো, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, টিলাগড়, মদিনামার্কেট, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, অতিরবাড়ি, শ্রীরামপুর বাইপাস, পারাইর চক, বটেশ্বর, এয়ারপোর্ট রোড, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, জিন্দাবাজার ও কাজীর বাজার সেতুর দক্ষিণ পার্শ্ব।