সিলেটে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে প্রশাসনের অনুরোধে ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে তারা।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে সকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় আটকেপড়াদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী যাচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

এদিকে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটে আবারও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক উপচে তীব্র বেগে পানি ঢুকছে। উজানি ঢলে একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা। গ্রাম ছেড়ে লোকজন আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে। গবাদিপশুর জায়গা হয়েছে মহাসড়কে। বানভাসি মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।

স্থানীয়রা বলছেন, পানি প্রচণ্ড বেগে বাড়ছে। অনেক অসহায় পরিবার আছে, যারা খাবার পাচ্ছে না। আমরা যা পারছি এলাকা থেকে সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি।

এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর বাইরে জেলার ছোট ছোট অন্যান্য নদ-নদীর পানিও দ্রুত বাড়ছে।