সুন্দরীরা এগিয়ে এলেন হাতে গোলাপ নিয়ে, এতেই বাড়ল বিপত্তি

রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে যাঁরা কলেজ স্ট্রিটে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাতে গিয়ে গোলাপ-বিড়ম্বনায় পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)!

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী এবং টিএমসিপি’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিটে যান জনা পঞ্চাশ টিএমসিপি কর্মী। তাঁদের সঙ্গে ছিল দু’টি ট্রে ভর্তি শ’খানেক গোলাপ এবং হাতে লেখা বেশ কিছু পোস্টার। কলেজ স্ট্রিটকে ‘নীরব জোন’ ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টারগুলি লেখা হয়েছিল।

ধন্যবাদ জানানো হয়েছিল সেই নির্দেশিকা মেনে যাঁরা গাড়ি চালাচ্ছেন তাঁদেরও। এরপর টিএমসিপি নেতাকর্মীরা একের পর এক ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস, স্কুটার দাঁড় করিয়ে চালকদের হাতে গোলাপ তুলে দিতে শুরু করেন। চলতে থাকে ছবি তোলা। রাস্তার উল্টোদিকে তখন মুখে কালো কাপড় বেঁধে নীরব প্রতিবাদ করছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। সব মিলিয়ে আচমকাই শুরু হয় যানজট। আটকে যাওয়া গাড়িগুলি হর্ন বাজাতে শুরু করে। সবমিলিয়ে মিনিট কুড়ি এই অবস্থা চলে।

কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা টিএমসিপি সমর্থকদের একাধিকবার রাস্তা আটকে গোলাপ বিলি না করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। খানিকক্ষণ গোলাপ বিতরণ চলার পর পুলিশ কার্যত জোর করেই টিএমসিপি নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে দেয়।

এদিন লগ্নজিতা বলেন, ‘‘কলেজ স্ট্রিটে মিটিং-মিছিল বন্ধ করা এবং হর্ন বাজানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির পদক্ষেপটি ঐতিহাসিক। আমরা ছাত্রছাত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। যে চালকেরা নির্দেশ মেনে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাতেই আমরা গোলাপ বিলির কর্মসূচি নিয়েছিলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আসলে রাস্তাটি সংকীর্ণ। চল্লিশ-পঞ্চাশজন ছাত্রছাত্রী চলে আসায় একটু সমস্যা হয়েছে। পুলিশও আমাদের বারবার ক্যাম্পাসে ঢুকে যেতে বলছিল। সেই নিয়ে ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও সামান্য যানজট হয়েছে।’’

বুধবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়েছিল কলেজ স্ট্রিটে। এদিন সকাল থেকে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মুখে কালো কাপড় বেঁধে নীরব প্রতিবাদ সত্ত্বেও ওই রাস্তা শান্তই ছিল। কিন্তু তাল কাটল শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরেই।-এবেলা