সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।
টানা ৬ দিন চিকিৎসা শেষে অনেকটাই সুস্থ তিনি।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন কলকাতার মহারাজ।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই চিকিৎসক, নার্স থেকে হাসপাতাল কর্মী এবং ভক্তদের ধন্যবাদ জানালেন সৌরভ। শুধু তাই নয়; আবারও উড়তে প্রস্তুত বলে ভক্তদের জানান তিনি।

সৌরভ বলেন, ‘উডল্যান্ডস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। এতদিন যারা আমার মঙ্গল কামনা করেছেন, এখানে থেকেছেন ধন্যবাদ তাদেরও। আমি আবারও উড়তে প্রস্তুত।’

এরপর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি ভাল আছি। জীবনে ফিরলাম। ধন্যবাদ।’

হাসপাতাল থেকে ছাড় পেলেও সৌরভের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নজরদারিতেই থাকছে চিকিৎসকদের।

জানা গেছে, আজ বেলা ১২টায় বিশিষ্ট কার্ডিয়াক স্পেশালিস্ট দেবী শেঠির উপস্থিতিতে বৈঠকে বসবে চিকিৎসকরা। যেখানে সৌরভের বাকি থাকা দুটি এনজিওপ্লাস্টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, সৌরভ গাঙ্গুলী এখন অনেকটাই সুস্থ্য। তার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড এবং অন্যান্য শারীরিক মাপকাঠি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। এরপরও আগামী দুই সপ্তাহ চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো কঠোর নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে গাঙ্গুলীকে। এরমধ্যেই তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। কারণ স্টেন্ট বসানোর পরে তার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত ব্যবধানে পরীক্ষা করে দেখা হবে।

বুধবার সৌরভের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল বলেছিলেন, ‘দেশ ও বিদেশের হৃদরোগ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সৌরভের অন্য দুটি ধমনীতে এনজিওপ্লাস্টিই করতে হবে, বাইপাস নয়। তবে সেটি কবে করা হবে, এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’

গত ২ জানুয়ারি সকালে নিজ বাড়িতে ট্রেডমিলে হাঁটার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেন সৌরভ। একপর্যায়ে মাথা ঘুরে পড়ে অজ্ঞানও হয়ে যান তিনি। এর পর তাকে নেয়া হয় কলকাতার বেসরকারি উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে তাকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। তাকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন, মৃদু কার্ডিয়াক এরেস্টের শিকার হন সৌরভ। তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লকেজ রয়েছে। শনিবার একটিতে স্টেন্ট লাগানো হয়। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। বাকি দুটিতে স্টেন্ট লাগানো হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নিতে বিষয়টি নিয়মিত দেখভাল করছেন প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, এবিপি আনন্দ