সূবর্ণজয়ন্তীতে প্রাণহানির দায় সরকাকেই বহন করতে হবে : ন্যাপ

স্বাধীনতার সূবর্ণজয়নতীতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান সহিংসতা, সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে পুলিশের গুলিতে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।

বুধবার (৩১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সম্মান জানিয়ে নাগরিকের মূল্যবান জীবন সুরক্ষায় সরকারকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কোন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সহিংস পন্থায় বিক্ষোভ দমনের পদ্ধতির অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে রক্তাক্ত, দমন-পীড়ন, নিপীড়ন কোনভাবেই গস্খহযোগ্য হতে পারে না।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের সঙ্গে যদি কোনো মহলের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়, এর মীমাংসা রক্তাক্ত পথে হতে পারে না। সরকারের নীতি, কর্মকান্ড এবং আচরণের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে এরই বহির্প্রকাশ ঘটেছে। এই কয়েকদিনের বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে গেছে। এটি অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত এবং নিন্দনীয়।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রেলস্টেশন, রেলগাড়ি, ভূমি অফিস, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সৃষ্ট নৈরাজ্যের দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।

সরকারের উদ্দেশে তারা বলেন, অনতিবিলম্বে চলমান বিরোধ ও সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। গত কয়েক দিনের ঘটনায় যারা নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, দমন-পীড়নে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। আশা প্রকাশ করি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।