সূবর্ণজয়ন্তী ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করতে না পারা দু:খ জনক : ন্যাপ মহাসচিব

শুধু সরকারই স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। জাতির অহঙ্কার স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী জাতি হিসাবে ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করতে না পারা দু:খ জনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন করতে না পারা অবশ্যই জাতি হিসাবে আমাদের ব্যর্থতা। জনগণ স্বাধীনতার ৫০ বছরের উৎসব যদি করতে না পারে তাহলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হয় না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এটা জনগণের অনুষ্ঠান। সেই জনগণকে আজকে ঘরে বন্দি।

বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অবদান উপেক্ষিত হচ্ছে। যে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার কৃতিত্ব প্রবাসী সরকারের। সে সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, সদস্য অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, কমরেড মনি সিংহ, শ্রী মনোরঞ্জন ধর-কে অনুষ্ঠানগুলোতে স্মরণ করা হচ্ছে বলে কেউ জানে না। প্রবাসী সরকারের অবদানকে অস্বীকার করে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন পরিপূর্ণ হয় না।

তিনি আরো বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণাপত্রের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায় বিচার আজও অধরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ জাতি। কিন্তু আজ জাতিকে বিভক্ত করা হচ্ছে এই চেতনার নামে। আমরা বিভক্ত জাতি নয়, ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। কারণ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, শাসকগোষ্টির ব্যর্থতা আর সুশাসনের অভাবে স্বাধীনতার স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয় নাই। এর জন্য আজকের শাসকগোষ্টি যেমন দায়ি, তেমনি অতীতের শাসকগোষ্টিও এর দায় এড়াতে পারে না। স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক রাজনীতির কোন বিকল্প নাই।

বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু স্বপন কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, জাতীয় জনতা ফোরাম সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, দলের মহানগর সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।