সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের একদিন আগেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন হয়েছে।মুসলমানদের দুই ঈদ সহ পবিত্র রমজান মাসের রোজাও রাখেন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।যুগ যুগ ধরে এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছেন সাতকানিয়া মির্জারখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের অনুসারিরা।

২০ জুলাই মঙ্গলবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ সহ ঈদের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তারা।

কথিত আছে, সুফি সাধক সৈয়্যদ মাওলানা মোখলেসুর রহমান (র.) শাহ’র জাহাঁগিরী ২০০ বছর আগে বিশ্বের কোথাও প্রথম চাঁদ দেখার সংবাদের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজ পালন করার নিয়ম প্রর্বতন করেন। তার সেই দেখানো পথে আজ অবধি এ নিয়ম মেনে আসছেন তার ভক্ত ও অনুসারীরা। এরপর থেকে দরবারের মুরিদরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা ও ইদ উদযাপন করে আসছেন।

এই নিয়ম অনুসরণ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ সাতকানিয়া বাঁশখালী সহ যেসকল এলাকায় তাদের অনুসারী রয়েছে সেসব জায়গায় আজ ঈদুল আজহা সম্পন্ন হয়েছে।

মূলত মির্জাখীল ও জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী যারা রয়েছেন তাদের নিয়ম অনুযায়ী একদিন আগেই ঈদুল আজহা সম্পন্ন করে।

প্রসঙ্গতঃ এছাড়াও দেশের নিয়মানুযায়ী আগামীকাল বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন সাধারণ মুসলিম জমতা।