স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার এএসআই সৌমেনের

স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যায় অভিযুক্ত এএসআই সৌমেন কুমার রায় কুষ্টিয়ার আদালতে দায় স্বীকার করেছেন। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিশিকান্ত সাহা। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আদালতে সৌমেন নিজেকে নিহত আসমার স্বামী বলে দাবি করেন।

তিনি জানান যে, তিনি আসমাকে দুবছর আগে বিয়ে করেন।

তিনি বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করেন বলে আদালতকে জানান। সার্ভিস পিস্তল ও বুলেট নিয়ে আসার কথাও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জবানবন্দি শেষে বিচারক সৌমেনকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান জানান, তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সৌমেনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এর আগে রবিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস অফিসের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করেন সৌমেন। নিহতরা হলেন সৌমেনের স্ত্রী আসমা খাতুন (২৫), তার সাত বছরের ছেলে রবিন।

এ ছাড়া শাকিল হোসেন (২৮) নামে আসমার এক বন্ধু।
সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মাগুরা জেলায়। নিহত শাকিলের বাবা মেজবার রহমান সৌমেনকে আসামি করে রবিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। আরেকটি মামলা করেন আসমার মা হাসিনা খাতুন।

দুই মামলাতেই সৌমেনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
নিহত আসমার বাড়ি কুমারখালীর নাটুরিয়া গ্রামে। তবে তারা কুষ্টিয়া শহরে থাকতেন। আর শাকিলের বাড়ি কুমারখালীর সাঁওতা গ্রামে। তিনি বিকাশের স্থানীয় একজন এজেন্ট।

এএসআই সৌমেনকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছেন খুলনার পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান। তিনি জানান, সৌমেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফুলতলা থানা থেকে ছুটি না নিয়েই সৌমেন রবিবার সকালে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলেন। বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ ও আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।